সমকালীন প্রতিবেদন : সাড়ে পাঁচ ফুট কুমিরকে গিলে নিল এক বার্মিজ পাইথন। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্যি। 'কঙ্কাবতী' খ্যাত ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের 'কুম্ভীর বিভ্রাট' গল্পের মতো ঘটনা এটি। এই খবরে অবাক হয়ে গেছেন নেটিজেনরা।
জীবজগত ও প্রকৃতিজগতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা মানুষকে অবাক করে। বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে চলেছে বিশ্বের সমস্ত প্রাণী। আবার প্রয়োজনে নিজেকে, নিজের শরীরকে পরিবর্তন করে নেয় বাঁচার জন্য। কুমিরকে গিলে ফেলার ঘটনা তারই বড় প্রমান।
এতবড় কুমির গিলে ফেলে শেষপর্যন্ত অবশ্য অসুস্থ হয়ে পরে ওই পাইথনটি। অবশেষে অপারেশন করে পাইথনের পেট থেকে কুমিরকে বের করা হয়। ওই ঘটনায় অবাক হয়েছেন পশু চিকিৎসকেরা।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ১৮ ফুট লম্বা সাপটিকে অস্ট্রেলিয়ার এভারগ্ল্যাড জাতীয় উদ্যান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই জাতীয় উদ্যানে আছে বেশ কিছু বিচিত্র প্রাণী। বিশেষ করে একাধিক গোত্রের পাইথন আছে ওই বনে।
পাইথন গোত্রের সকলেই আকারে বেশ বড়ো হয়। ফলে উদর পূর্তির জন্য তাদেরও চাই খাদ্য। কিন্তু কখনও কখনও এই খাদ্যই তাদের বিপদে ফেলে। এমনই এই ঘটনাটি ঘটলো অস্ট্রেলিয়ার গভীর অরণ্যে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, প্রথম ওই অঞ্চলের একজন মানুষ পাইথনটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। দেখতে পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় বন দপ্তরকে জানান।
এর পর বনদপ্তরের একটি দল সেটিকে উদ্ধার করে। ফ্লোরিডার গবেষণাগারে সাপটির অস্ত্রোপচার হয়। ওই অস্ত্রোপচার করার জন্য একাধিক হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ পশু চিকিৎসকদের আনা হয়। ওই টিমে বিশিষ্ট শল্য পশু চিকিৎসকেরা ছিলেন।
অপারেশনের আগে সাপটির পাকস্থলির স্ক্যান করা হয়। আর তখনই বোঝা যায় যে, সাপটির পেটের ভিতরে বড় কোনও জন্তু রয়েছে। অস্ত্রোপচারের টেবিলে দেখা যায়, ১৮ ফুটের ওই সাপটি সাড়ে পাঁচ ফুটের কুমির গিলে খেয়েছিল। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় খোদ প্রাণী বিজ্ঞানীদের।
যে দলটি পাইথনের অস্ত্রোপচার করে, তাদের মধ্যে অন্যতম রোজি মুর। তিনি বলেন, 'পাইথনটিকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম, সেটির পেটে হরিণের মতো কোনও প্রাণী রয়েছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর ভুল ভাঙে। এটা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। আমি প্রথমবার দেখলাম, পাইথনের পেটে কুমির।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন