সমকালীন প্রতিবেদন : সাঁওতালরা হিন্দুধর্মের দেবী দুর্গাকে খলনায়িকা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। আর মহিষাসুরকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন। এমনই অদ্ভত প্রথা চালু রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর কেন্দাশোল এলাকায়। এই পুজো এলাকায় হুদুড় দুর্গা নামে পরিচিত।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। দেশবিদেশের গোটা বাঙালি জাতি যখন দুর্গাকে মহা ধুমধামের সঙ্গে দেবীরূপে পুজো করেন, তখন উল্টো চিত্র দেখা যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর কেন্দাশোল গ্রামে। জঙ্গল ঘেরা এই গ্রামের সাঁওতাল কুড়মালি সমাজের মানুষের কাছে দুর্গার পরিবর্তে মহিষাসুরকে পুজো করা হয়।
এই সমাজের মানুষের কাছে মহিষাসুরই আসল দেবতা। তাদের যুক্তি, ছলনা করে দুর্গাকে দিয়ে বধ করা হয়েছিল মহিষাসুরকে। আর তাই এই সময় দুর্গার পরিবর্তে মহিষাসুরের মূর্তি বসিয়ে শহীদ স্মরণ করেন এই গ্রামের আদিবাসী মানুষেরা।
এই অঞ্চলের আশপাশের কোনও গ্রামেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয় না। পরিবর্তে সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত এই মহিষাসুরের স্মরণ অনুষ্ঠান চলে। ২০১৬ সাল থেকে এই স্মরণ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে এবছরও খুবই সাদামাটা করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানালেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন