সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিকে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাতে থেকে রক্ষা করতে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে গ্রামের যুবকেরাই। পুলিশের সহযোগিতায় রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্রাম পাহারা দেবেন ওই যুবকেরা। এরজন্য ছোট ছোট কমিটিও গঠন করে দেওয়া হল।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার অর্ন্তগত প্রায় ৫৬ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। এরমধ্যে অনেক এলাকায় এখনও কাঁটাতার লাগানোর কাজ বাকি রয়েছে।
আর এই অরক্ষিত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা।
বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা এলাকায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে বড় বাজেটের অনেকগুলি কালীপুজোর আয়োজন হয়। আর এই পুজো দেখতে এই ব্লকের অন্যান্য গ্রামের পাশাপাশি বাংলাদেশ লাগোয়া অনেকগুলি গ্রাম থেকেই হেলেঞ্চায় পুজো দেখতে আসেন গ্রামবাসীরা।
গ্রাম থেকে সপরিবারে মানুষ কালীপুজো দেখতে আসায় সেইসময় গ্রাম থাকে অসুরক্ষিত। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতীরা গ্রামের বাড়িগুলিতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে পালায়। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকেও দুষ্কৃতীরা হাজির হয়।
এবারের কালীপুজোয় যাতে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল বাগদা থানার পুলিশ। গ্রামের যুবকদের নিয়ে কমিটি গড়ে গ্রাম রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে গ্রামের যুবকদেরই।
রবিবার বাগদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল সাহা বাগদার সীমান্ত লাগোয়া রনঘাট, কুলিয়া, জগদীশপুরের মতো গ্রামগুলিতে হাজির হয়ে পুজোর দিনগুলিতে গ্রামবাসীদের কিভাবে সচেতন থাকতে হবে, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজেদেরকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, তা বোঝান।
শুধু তাই নয়, অচেনা ব্যক্তি কাউকে গ্রামে ঘুড়তে দেখলে পুলিশকে খবর দেওয়ার পাসাপাশি গ্রামবাসীদের আর কি কি করণীয়, সেব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেটও বিলি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বাগদায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানালেন গ্রামবাসীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন