সমকালীন প্রতিবেদন : প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যাত্রা শুরু হওয়ার আগে বন্দুক থেকে শুন্যে গুলি ছোঁড়া হয়। আর তারপর রাজবাড়ি থেকে নিরঞ্জনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় প্রতিমা। ৫১৩ বছর ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ীতে।
জলপাইগুড়ি জেলার ঐতিহ্যবাহী বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ীর দুর্গাপুজো এলাকার মানুষের কাছে আলাদা আবেগ। প্রতি বছর এই পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন এই রাজবাড়িতে। এবছরও ভিড় উপচে পরেছিল।
বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো হেরিটেজের স্বীকৃতি দেওয়ায় এবছর রাজ্যের সমস্ত জেলা সদরে কার্নিভালের আয়োজন করার কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই কার্নিভালে এলাকার পুজোগুলি প্রতিমা নিয়ে হাজির থাকার কথা পুজো উদ্যোক্তাদের।
জলপাইগুড়ি জেলাতেও শুক্রবার এই কার্নিভালের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু সেখানে হাজির থাকছে না রাজবাড়ির প্রতিমা। রীতি মেনে বুধবার দশমীর দিনই রাজবাড়ির প্রথা মেনে প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন নিরঞ্জনের পথে বের হওয়ার আগে মাদূর্গাকে সিঁদুর পরানোর পাশাপাশি মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেনে ওঠেন। মিষ্টিমুখ করিয়ে মাকে বিদায় দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তার আগে প্রথা মেনে বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়া হয়।
এদিনের প্রতিমা নিরঞ্জনের যাত্রাপথে নতুন প্রজন্মের একঝাক তরুণ তরুণীকে হাজির তাকতে দেখা যায়। ঢাকের তালে নাচ করে, মোবাইলে ছবি তুলে তাঁরা এই মুহূর্তটাকে স্মরনীয় করে রাখেন। এদিন রথে করে নদীর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় মাদুর্গাকে। লোকেলোকারণ্য ছিল গোটা পথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন