সমকালীন প্রতিবেদন : নাবালিকার বিয়ে রুখতে সটান বিয়ে বাড়িতে হাজির স্বয়ং বিডিও। আর বিডিওকে উপস্থিত হতে দেখে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেল পাত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দকাটি গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, আজ দুপুরে ওই গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছরের নাবালিকা স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল বাদুড়িয়া থানার বাগজোলা গ্রামের এক যুবকের। বিয়ের আয়োজন পুরোদমে চলছেল পাত্রীর বাড়িতে। পাত্রপক্ষও হাজির সেখানে।
আত্মীয় পরিজনে ভর্তি বাড়ি। পাত্রীর গায়ে হলুদ হয়ে গেছে। টেবিল–চেয়ারে দুপক্ষের লোকজন পাতপেড়ে খাওযাদাওয়ার কাজও চালাচ্ছিল। তখন শুধু চার হাত এক হওয়ার অপেক্ষা।
আর এমন সময়েই বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পাত্রীর বাড়িতে হাজির হন বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য। প্রশাসনের লোকজনকে দেখে বিয়ের আসর থেকে আচমকাই পালিয়ে যায় পাত্র।
এরপর বিডিও সহ প্রশাসনের লোকেরা পাত্রীর পরিবারের লোকদের বোঝান যে, নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যতক্ষণ পর্যন্ত ১৮ বছর না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওযা যাবে না।
তাঁরা আরও বলেন, এই নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে, তাদের কথা ভেবে রাজ্য সরকারে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছে। নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়া একটি সামাজিক ব্যাধি এবং অপরাধ।
প্রশাসনের কর্তাদের এইসব কথা শোনার পর পাত্রীর বাবা–মা প্রশাসনের কাছে ইখিত মুচলেখা দিয়ে জানান যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হবে, ততক্ষণ তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। ততদিন অপেক্ষা করবেন। পাশাপাশি, মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন