সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েও শেষ পর্যন্ত চাকরি না মেলায় আত্মঘাতী হন এক যুবক। আত্মহত্যা করার আগে ৭ পাতার একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে গেছেন তিনি। সেই নোট সামনে আসতেই কবর থেকে দেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার বাসিন্দা আবদুর রহমান স্কুলে শিক্ষকতার জন্য সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয় এক ব্যক্তিকে। বছরের পর বছর কেটে গেলেও তিনি আর চাকরি পান নি। টাকাও ফেরত পান নি।
এই পরিস্থিতিতে হতাশগ্রস্থ হয়ে শেষপর্যন্ত তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লোকেরা মাথা না ঘামালেও তাঁর মৃতদেহ কবর দেওয়ার দুদিন পর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
৭ পাতার সেই সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে গেছেন আবদুর রহমান। সেখানে তিনি বেশ কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেছেন। এই সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসতেই সোরগোল পরে যায়। এরপরই লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা মফিজউদ্দিন শেখ।
এর প্রেক্ষিতে লালগোলা আদালতের বিচারক কবর থেকে মৃতদেহ তুলে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে, রবিবার মৃতের বাড়িতে যান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।
মৃত যুবকের পরিবারের লোকেরা অধীরবাবুকে জানান, এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান তাঁরা। এরজন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা সহ অন্যান্য যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন অধীরবাবু ওই পরিবারকে তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহনের বদলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগকারীদেরই উল্টে হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার পর ১৯ দিন কেটে গেলেও এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। ন্যায্য বিচার পেতে প্রয়োজনে লালগোলা থানার সামনে আন্দোলনে নামবেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই হুমকি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন