সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে নগদ টাকা উদ্ধারের তালিকা দিন দিনই দীর্ঘ হচ্ছে। এবারে এই তালিকায় নতুন সংযোজন হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকা। রবিবার রাতে এখানকার একটি তালাবন্ধ ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখা থেকে লালবাজারে অভিযোগ করে জানানো হয় যে, একটি অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই ঘটনা যথেষ্ট সন্দেহজনক। এই অভিযোগ পাওয়ার পর কলকাতা পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা এব্যাপারে তদন্তে নামে।
পুলিশের তদন্তের কাজ শুরু হবার সময় প্রথমেই ওই সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টটিকে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। তদন্তে শৈলেশ পান্ডে নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। আর তারপর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
রবিবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ হাওড়ার শিবপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই থানার মন্দিরতলা কৈপুকুর এলাকার একটি আবাসনে হানা দেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসারেরা। এই আবাসনের থার্ড ফ্লোরে শৈলেশ পান্ডের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, করোনার পর থেকেই এই ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ থাকতো। মাঝেমধ্যে শৈলেশ পান্ডের ভাই এখানে কিছুসময়ের জন্য আসতেন। আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে সেভাবে তাদের কথা হতো না।
এদিন তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ঘরের ভেতরে থাকা একটি বক্স খাটের মধ্যে থেকে ৮টি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগ খুলতেই তারমধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে ৫০০ টাকার নোটের বহু বন্ডিল। শেষ পর্যন্ত গুনে দেখা যায়, সেই টাকার মোট পরিমান ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ।
রাতেই দুটি বড় ট্রলি ব্যাগে করে সেই টাকা লালবাজারে নিয়ে যান গোয়েন্দা অফিসারেরা। যাওয়ার আগে অফিসারেরা ওই ফ্ল্যাটে নতুন করে তালা লাগানোর পাশাপাশি একটি নোটিশও ঝুলিয়ে দিয়ে গেছেন। এমন টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা।
সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ায় ঘটনায় অবার রাজ্যবাসী। হাওড়ায় এদিনের উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস সন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। অভিযুক্ত শৈলেশ পান্ডের অবশ্য এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন