সৌদীপ ভট্টাচার্য : চাকরীর দাবিতে ২০১৪ সালের প্রাইমারি উত্তীর্ণ চাকরীপ্রার্থীরা ঐক্যমঞ্চ গড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। করুময়ীর কাছে রাস্তার উপর শুয়ে পরে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়াই তাঁদের প্রত্যেককে সরাসরি নিয়োগপত্র দিতে হবে।
তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজে কথা দিয়েছিলেন যে, টেট উত্তীর্ণ যারা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধাপে ধাপে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউতে বসতে হবে।
আর তারই প্রতিবাদে নতুন করে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন তাঁরা। যতক্ষণ না তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলন তুলে রাস্তা খালি করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, '২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরীপ্রার্থীরা দুবার ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পেয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীদের আবেগের সাথে সহমর্মিতা পোষণ করছি। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছে অর্থাৎ এই আন্দোলন জিইয়ে রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আগামী দুবছরের মধ্যে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণ নেওয়া চাকরীপ্রার্থীরা কেউ বসে থাকবেন না। যাদের বয়স পেরিয়ে গেছে, তাঁদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া। আইন মেনে সবকিছু করতে হবে।'
এদিন তিনি আরও জানান, 'পরবর্তী নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সংবিধান মেনে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। ইন্টারভিউতে ভিডিও রেকর্ডিং হবে। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা রয়েছে। এটি যেহুতু বিচারাধীন, এই প্রসঙ্গে আমি কিছু বলবো না। ওনারা জল, খাবার বর্জন করছেন, আর আমরা জল, খাবার খাওয়ার সময় পাচ্ছি না।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন