সমকালীন প্রতিবেদন : শীতকালের পৌষ মাসের মেলা হোক বা দোল পূর্ণিমার উৎসব, বাঙালি তথা সব ধরণের পর্যটকদের কাছেই অন্যতম পছন্দের স্থান শান্তিনিকেতন। আর শান্তিনিকেতনের কথা উঠলে সোনাঝুরির খোয়াই এর হাট এড়ানো সম্ভব নয়।
এবার সেই খোয়াই হাটেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহিলা এবং বিকলাঙ্গ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল 'মোবাইল উইমেন ফেসিলিটি কর্নার'। রাজ্যে এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।
বীরভূম জেলা পরিষদের আর্থিক সাহায্যে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ভ্রাম্যমান এই ক্যারাভ্যান পরিষেবা চালু করা হল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পরিষেবার উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পরিষদের সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মহকুমা শাসক অয়ন নাথ সহ অন্যান্যরা।
নির্মল বাংলা শিরোপা পাওয়া বীরভূমের বোলপুর-শান্তিনিকেতন এই রাজ্য, দেশ ছাড়াও বিদেশের পর্যটকদের কাছে সারা বছরের জন্য অন্যতম ভ্রমণের স্থান। আর সেখানকার সোনাঝুরির জঙ্গলের খোয়াই হাটের তো তুলনাই নেই।
প্রতিবছর এই স্থানে ঘুরতে আসেন লক্ষাধিক পর্যটক। আর সেই সব সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই তাদের সুবিধার্থে ক্যারাভ্যান পরিষেবা চালু করল বীরভূম জেলা পরিষদ।
জেলা পরিষদের নির্মল বাংলা প্রকল্প থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে আধুনিক এই 'মোবাইল উইমেন ফেসিলিটি কর্ণার' বাসটি। একটি বেসরকারি বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা এই বিশেষ বাসটি নির্মাণ করেছে। বাসের ভেতরেই বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশেষ করে মহিলা, বিকলাঙ্গ এবং গর্ভবতী মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই এই বাস পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আধুনিক এই বাসে রয়েছে, তিনটি শৌচাগার সহ পোশাক বদলানোর ঘর, সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা, খাওয়ার ঘর ইত্যাদি। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই পরিষেবা পেতে মাথাপিছু মাত্র কুড়ি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এব্যাপারে বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় জানান, অন্য রাজ্যে পর্যটন স্থলগুলিতে মহিলাদের জন্য এই ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। একটি পুরনো বাসকে কাজে লাগিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।
আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে এই পরিষেবার উদ্বোধন হল। প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি প্রচুর সাধারণ মানুষ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন