শম্পা গুপ্ত : জঙ্গলে চিতাবাঘের শাবকের অস্তিত্ব মেলায় তাকে ঘিরে নানা রহস্য দানা বাধলো। এমন কান্ড পুরুলিয়ার সিমনি জাবরের জঙ্গলে। ইতিমধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। আর তাকে কেন্দ্র করে এখন আলোচনায় চলে এসেছে পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চল।
ঝাড়খন্ড লাগোয়া ঝালদা ২ নম্বর ব্লকে রয়েছে কোটশিলার বনাঞ্চল। দিন দুই আগে স্থানীয়রা এখানকার সিমনি বিটের সিমনি-জাবর পাহাড়ের জঙ্গলে কাঠ এবং পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। আর তখনই তাদের একজনের নজরে আসে চিতাবাঘের শাবকটিকে।
আর সেই শাবকের ছবি মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করেন এক গ্রামবাসী। তারপরেই গ্রামের বাসিন্দারা এই বিষয়টি জানতে পারেন। গ্রামবাসীদের মাধ্যমেই খবর যায় বন দপ্তরের কাছে। গ্রামবাসীদের কয়েকজনের দাবি, ওই জঙ্গলে তারা বাঘের পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে এই জঙ্গলে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে একটি চিতাবাঘের দেখা পান গ্রামের এক মহিলা। গ্রামবাসীরা তারপর থেকে উপলব্ধি করেন যে, জঙ্গলের ভেতরে কোনও গবাদি পশু প্রবেশ করলে, তাদের অনেকেই আর ফিরে আসছে না।
এই ঘটনার কিছুদিন পর আরও একটি চিতাবাঘের দেখা মেলে। বনদপ্তর জঙ্গলে ট্রাপ ক্যামেরা লাগানোর পর নিশ্চিত হয় যে, এই জঙ্গলে একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে। আর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে বনদপ্তরের ধারণা, চিতাবাঘের শাবক জন্মাতেও পারে।
যদিও এব্যাপারে বনদপ্তর এখনও নিশ্চিত হয় নি। আর নিশ্চিত হতে জঙ্গলে ৫ টি ট্রাপ ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর। পাশাপাশি, এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন জেলার বনাধিকারিক দেবাশিষ শর্মা।
সিমনির স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকার জঙ্গলে যে চিতাবাঘ রয়েছে, তা এক বছর আগেই তারা বুঝতে পারেন। কারণ, ওই চিতাবাঘের খপ্পরে পড়ছিল গ্রামের গৃহপালিত পশুরা। একমাস আগেও একটি গরুকে বাঘে নিয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন