সমকালীন প্রতিবেদন : নানা কারণে জলাশয় থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ছোট ছোট মাছ, যাকে চলতি কথায় চুনো মাছ বলা হয়। আর এই মাছ রক্ষা করার প্রার্থনা জানাতে মাকালীর পুজোর সূচনা করা হয়। এবছর সেই পুজো ২১ বছরে পরলো।
জানা গেছে, ২১ বছর আগে তৎকালীন বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বড়কোবলার বিলের পাশে রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এই কালীপুজোর সূচনা করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, বিলের চুনো মাছ অর্থাৎ ছোট দেশী মাছ রক্ষা করা।
এর পর থেকেই এখানে প্রতি বছর কালীপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে। পুজোয় মাকালীর কাছে প্রার্থনা করা হয় যেন, দেশী ছোট ছোট মাছ রক্ষা পায়। আর এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল– ফল, মিষ্টির পাশাপাশি পুজোয় ভোগ হিসেবে চুনো মাছের নানা পদ রান্না করে মায়ের কাছে নিবেদন করা।
এই পুজো উপলক্ষ্যে পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানালেন, দেশি অর্থাৎ চুনো মাছের অনেক প্রজাতিই আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু মাছের উপকারিতা যথেষ্ট।
আর সেই মাছকে বাঁচাতে মায়ের এই পুজোর আয়োজন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্র মমতা ব্যানার্জীও জলাশয় রক্ষা করতে নানা ব্যবস্থাগ্রহন করেছেন। আমরাও তাঁকে অনুসরণ করে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কালীপুজোর মাধ্যমেও আমরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি।
এ বছর ১৩ রকমের চুনো মাছের পদ রান্না করে মায়ের কাছে ভোগ নিবেদন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুটি, মৌরলা, ভ্যাদা, খোলসে, কই, সোনা খোরকে, কাঁকড়া ইত্যাদি। বাঁশের সুদৃশ্য মঁচা করে তাতে রান্না করা মাছের নানা পদ এবং ফলের ঝুড়ি নিয়ে মন্দিরে হাজির হন ভক্তরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন