সমকালীন প্রতিবেদন : জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রীর। জ্বরে আক্রান্ত গআমের আরও বেশ কয়েকজন। কলকাতার হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাল ফিভার আটকাতে তৎপরতা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
জানা গেছে, মৃত ছাত্রীর নাম সাবিয়া খাতুন (১০)। বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হায়দারপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমে তাকে রুদ্রপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে সেখান থেকে তাকে বারাসত জেলা হাসপাতাল পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও কোনও পরিবর্তন না আসায় এরপর তাকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরও জানা গেছে, ওই গ্রামে আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। সাবিয়া দীর্ঘদিন ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ছিল। শারীরিকভাবে অসুস্থ ও দুর্বলতার জন্যই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই নাবালিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে। এব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে। মৃত সাবিয়ার পরিবারের দাবি, তাদের মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
যদিও হাসপাতাল থেকে যে ডেট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তাতে কার্ডিয়াক অ্যারেষ্ট এবং ভাইরাল ফিভারের জন্য ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বাদুড়িয়ার বিডিও সুপর্না বিশ্বাস গ্রামে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করেছেন।
ওই গ্রামে যেসব রোগী জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের রক্তের নমুনা, লালা রস নিয়ে কলকাতা ট্রপিক্যালে পাঠানো হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা যাতে নতুন করে না বারে, তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের এব্যাপারে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন