সমকালীন প্রতিবেদন : দামাল হাতির দলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবারে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে আনা হল দুই কুনকি হাতিকে। দলমার দামালদের মোকাবিলা করবে শম্ভু এবং মীনাক্ষী নামে এই দুই কুনকি হাতি। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই তারা পৌঁছে গেছে ঝাড়গ্রামে।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পরিচিত দুই কুনকি শম্ভু এবং মীনাক্ষী। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সোমবার ভোররাতে তাদেরকে নিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দুটি আলাদা ট্রাক। তাদের সঙ্গে পাঠানো হয় মাহুত এবং পাতাওয়ালাকেও।
বনদপ্তরের দুই বিশ্বস্ত ও দক্ষ কুনকি হাতি শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে ট্রাক দুটি পৌঁছায় দুর্গাপুরের আড়া বনদপ্তরে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর ওই দুই কুনকি হাতিকে নিয়ে ফের জঙ্গলমহলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বনকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে যায় ট্রাক। জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানের দক্ষ এবং বিশ্বস্ত দুই কুনকি শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে আপাতত সেখানে রেখে তাদেরকে বিশেষ কাজে লাগানো হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের হাতে রামলাল নামে একটি কুনকি হাতি রয়েছে। তবে সে খুবই বদমেজাজি। ইতিমধ্যেই তার আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাকে কাবু করতে এবারে শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে কাজে লাগানো হবে।
এর পাশাপাশি, বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার এক দল হাতি। এই বুনো হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তাদের হামলায় বাড়িঘর ভাঙছে, মানুষের জীবনহানি পর্যন্ত ঘটছে।
এই দামাল হাতিদের বাগে আনা তো দূরের কথা, তাদের মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের। তাই এই দামাল হাতিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যান থেকে এই ২ কুনকি হাতিকে আনা হয়েছে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পরা দলমার দামালদের ফের দলমায় ফেরত পাঠাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে কাজে লাগানো হবে। আর সেই উদ্দেশ্যেই এই দুই কুনকি হাতিকে জলদাপাড়া থেকে ঝাড়গ্রামে আনা হয়েছে। বন দপ্তরের আশা, এই কাজে তারা সফল হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন