সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রামের পাশাপাশি গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় বড় বাজেটের বেশ কয়েকটি কালীপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তাদের মধ্যে অন্যতম চৌরঙ্গী ক্লাব।
এবছর এই ক্লাবের পুজো ৫৪ বছরে পদার্পণ করেছে। গত দুবছর করোনার কারণে ছোট আকারে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এবারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় নতুন উদ্যোমে বড় বাজেটের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে এই পুজো কমিটি 'বৃদ্ধা মা', 'পুরীর জগন্নাথ মন্দির' এর মতো থিমের উপর মন্ডপ তৈরি করে দর্শকদের নজর কেড়েছে। ছোট্ট পরিসরে শিল্পীর হাতের যাদুতে এই পুজোর মন্ডপ হয়ে ওঠে জীবন্ত। আর তাই প্রতি বছর এই পুজোর মন্ডপ দেখতে হাজির হন বহু দর্শনার্থী।
এবছর এই পুজো কমিটির পুজোর থিম 'বন্দিমুক্তি'। মানুষের পাশাপাশি প্রাণী জগতের নানা দিকের উপর আলোকপাত করে এই থিমের উপর পুজোমন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নানা মডেল দিয়ে মন্ডপের ভেতরের অংশ সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বসিরহাট মহকুমার কাটিয়াহাট এলাকার একদল শিল্পী দুর্গাপুজোর পর থেকে রাতদিন এক করে পুজোমন্ডপ তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন। মন্ডপ সাজিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ফোম, বোর্ড ইত্যাদি সামগ্রী। আলোতেও রাখা হয়েছে নানা অভিনবত্ব।
ক্লাবকর্তা অজিত রায় জানান, 'প্রতি বছর পুজোর আয়োজনের পাশাপাশি দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। তবে এবছর যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপ একটু বেশি, তাই সরকারের পাশাপাশি আমরাও এব্যাপারে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এবছর ৩০০ জন দরিদ্র মানুষের হাতে মশারী তুলে দেওয়া হয়েছে।'
রবিবার পুজো মন্ডপের উদ্বোধন করেন বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার জয়ীতা বসু। উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্নস্তরের বিশিষ্টজনেরা। দর্শনার্থীরা ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত মন্ডপ এবং প্রতিমা দর্শনের সুযোগ পাবেন। ২৮ অক্টোবর সকালে টলিউডের অভিনেত্রীর উপস্থিতিতে ছৌনাচ সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন