শম্পা গুপ্ত : হনুমানের তান্ডবে অতিষ্ট হয়ে পরেছিলেন এলাকার মানুষ। হনুমানের হামলায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পরছিলেন এলাকার মানুষ। অবশেষে বনদপ্তরের উদ্যোগে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হল হনুমানটিকে।
বনদপ্তর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক ধরেই পুরুলিয়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের দুমদুমি এবং সংলগ্ন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে বেরাচ্ছিল একটি হনুমান। তার হামলায় ত্রস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন গ্রামের মানুষ। একের পর এক মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছিল সে।
ইতিমধ্যেই তার হামলায় জখম হয়েছেন প্রায় ১০ জন গ্রামবাসী। আচমকা হামলা চালিয়ে আঁচড়ে, কামড়ে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছিল হনুমানটি। আহত গ্রামবাসীদের পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে এই খবর পেয়ে এরপর থেকে হনুমানটিকে বাগে আনতে বনদপ্তরের কর্মীরা টানা তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে ঘুম পাড়ানি গুলি দিয়ে আয়ত্তে আনার পরিকল্পনা করেন বনকর্মীরা।
কিন্তু ঘুম পাড়ানি গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় অভিযানে যেতে পারছিলেন না বনকর্মীরা। অবশেষে তাঁদের কাছে গুলি এসে পৌঁছায়। আর তারপরই আজ ভোররাত থেকে বন্দুক হাতে নিয়ে হনুমানটিকে কব্জা করার জন্য অভিযান চালান বনকর্মীরা।
অতিরিক্ত বনধিকারিক পূরবী মাহাতোর নেতৃত্বে এদিন বনকর্মীরা দুমদুমি গ্রামে গিয়ে হনুমানটিকে প্রথমে খুঁজে বের করেন। তারপর তাকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি চালানো হয়। গুলি খেয়ে হনুমানটি ঘুমিয়ে পরলে তাকে জালে করে একটি খাঁচায় ভরা হয়।
আপাতত পুরুলিয়া মিনি জু-তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে হনুমানটিকে। হামলা চালানো হনুমানটি ধরা পরেছে, এই খবর ছড়িয়ে পরতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন এলাকার মানুষ। টানা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পুরুলিয়ার মফস্বল থানার বিভিন্ন গ্রামে ওই হনুমানটি তাণ্ডব চালাচ্ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন