শম্পা গুপ্ত : সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম রথু বাউরী(৫২)। বাড়ি পুরুলিয়া জেলার নডিহা গ্রামে। এই ঘটনায় ফের একবার সরকারি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই পুরুলিয়ার বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়ে যায় মহিষের লড়াই। স্থানীয়ভাবে এটি কাড়া লড়াই নামে পরিচিত। মূলত পুরুষ মহিষের লড়াইকে কাড়া লড়াই বলা হয় রাঢ় বাংলায়। এই খেলায় এর আগে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটায় অনেক আগেই সরকারিভাবে এই লড়াইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন করা হচ্ছে এই লড়াই। সেভাবেই রবিবার পুরুলিয়ার পাড়া থানার হাতিমারা গ্রামে আয়োজন করা হয় এই মহিষের লড়াই। সেখানে লড়াই দেখতে গিয়েছিলেন রথু বাউরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুটি মহিষের মধ্যে যখন লড়াই বেধে যায়, তখন বেশ কয়েকজন উৎসাহী মানুষ মহিষগুলির খুব কাছে চলে যান। আর তখনই একটি মহিষ উপস্থিত জনতার দিকে ছুটে আসে। আর তখনই মহিষের সিং এর আঘাতে গুরুতর আহত হন রথু বাউরি।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কুস্তাউর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর বন্ধ হযে যায় ওই কাড়া লড়াই।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন জানিয়েছেন, যারা এই আসর বসিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পশুদের উপর নিপীড়নের মামলা করা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন