সৌদীপ ভট্টাচার্য : অন্ধকার রাস্তায় দুই যুবক এক বিবাহিতা মহিলাকে ছুরি দিয়ে খুন করার চেষ্টা করল। ছুরির একের পর এক আঘাতে ওই মহিলার শরীরের বিভিন্ন জায়গা রক্তাক্ত হয়। গলাতেও ছুরি চালানো হয়েছে।
স্থানীয়দের তৎপরতায় আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক হামলাকারীকে ধরতে পেরেছেন স্থানীয়রা।উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানার কর্ণ মাধবপুর রায়পাড়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে রায়পুর এলাকার একটি নির্জন রাস্তার ধারে এক মহিলা এবং দুই যুবককে ধ্বস্তাধ্বস্তি করতে দেখেন পথচলতি মানু্ষ। এই এলাকায় বিদ্যুতের কোনও খুটি না থাকায় এলাকাটি অন্ধকার ছিল।
ঘটনার সময় পথচলতি কয়েকজন এই ঘটনা দেখে এগিয়ে যেতেই তাঁরা দেখেন, ওই দুই যুবক মিলে ছুরি দিয়ে মহিলাকে খুন করার চেষ্টা করছে। মহিলার গলায় ছরি চালানো হয়েছে। এছাড়া শরীরের নানা জায়গায় ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়েছে। গোটা শরীর রক্তাক্ত।
স্থানীয়দের দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে একজনকে ধরতে সমর্থ হন স্থানীয়রা। বাকি হামলাকারী পালিয়ে যায়। ধৃতকে পরে ঘোলা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রক্তাক্ত মহিলাকে পানিহাটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আক্রান্ত মহিলার আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে, আক্রান্ত মহিলার বাড়ি পাশের মহিষপোতা এলাকায়। তার নাম শিখা দেবনাথ। খবর পেয়ে তার স্বামীও ঘটনাস্থলে হাজির হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্ধকার রাস্তার ধারে দুই যুবকের সঙ্গে এক মহিলার সাক্ষাতের ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। স্থানীয়দের ধারণা, এই ঘটনার পেছনে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে। আর যার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। যেই স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে শুকনো খাবারের প্যাকেট সহ অন্যান্য সামগ্রী পরে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশের অনুমান, হামলাকারীরা এবং আক্রান্ত মহিলা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। হামলার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন