Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

খুনের ঘটনায় গাইঘাটা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রেপ্তার

 ‌

Arrest-of-Civic-Volunteers

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌মদের আসরে এক সঙ্গীকে খুনের অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। একইসঙ্গে ওই আসরে উপস্থিত থাকা আরও একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। 

মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছে, তাতে ধৃত দুজনেরই নাম রয়েছে। ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৮ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার হাজরাতলা এলাকায় একটি জবাফুলের বাগান থেকে বছর ৪২ বয়সের পঙ্কজ শিকারি নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় দেখতে পায় যে, মৃতদেহের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিন রাতে মৃতের মেয়ে জয়্ন্তী শিকারী গাইঘাটা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রবিবার রাতেই কমল বিশ্বাস এবং বাবলু বিশ্বাস নামে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি দুজন এখনও পলাতক।

মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় যে, শনিবার রাতে পঙ্কজ শিকারীর পরিচিত ৪ জন ব্যক্তি তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সারা রাতেও পঙ্কজ বাড়িতে না ফেরায় পরদিন খোঁজ করতে গিয়ে বাবলু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে পঙ্কজের রক্তমাখা জামা উদ্ধার হয়। 

এই ঘটনার পরই এটি খুনের ঘটনা বলে মনে করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। সেই অনুযায়ী খুনের মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। ধৃতদের মধ্যে কমল বিশ্বাস গাইঘাটার থানাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত।

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবলু বিশ্বাসের বাড়িতেই এই মদের আসর বসেছিল। মাঝেমঝ্যেই তার বাড়িতে এইধরনের মদের আসর বসে। এদিন নেশার ঘোরে নিজেদের মধ্যে হই হুল্লোর করতে গিয়ে পঙ্কজ পরে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। 

আর সেই কারণে মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে ধৃতরা দাবি করেছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ জানতে পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। ‌ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আপাতত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন