শম্পা গুপ্ত : পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া প্রচুর গরু আটক করলেন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতারাও। রবিবার পুরুলিয়ার হুড়া থানা এলাকায় পুরুলিয়া-বাঁকুড়া রাজ্য সড়ক থেকে এগুলি আটক করা হয়। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাতে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া রাজ্য সড়ক দিয়ে ট্রাকে করে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। বিশেষ সূত্রে এই খবর পেয়ে এলাকার মানুষ এবং তৃণমূল নেতারা গাড়িগুলিকে আটক করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে হুড়া থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িগুলিকে থানায় নিয়ে যায়।
জেলার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন জানিয়েছেন, হুড়া থানা এলাকার নিমতলা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে হুড়া থানার পুলিশ ২৩ টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। সেই গাড়ি থেকে ১৪৯ টি গরু উদ্ধার হয়। তারমধ্যে ৮ টি গরুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গাড়িগুলি আটক করার সময় হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, 'গরুগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা গরুগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিই।'
এই গরু পাচারের সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, একশ্রেণীর পাচারকারী এইভাবে গরু পাচারের কাজে যুক্ত রয়েছে। আর দোষ হচ্ছে তৃণমূলের। পুলিশ জানিয়েছে, গরুগুলি বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা হচ্ছিল। সেগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল।
এই ঘটনায় পুলিশ মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক। বাকিদের জেলা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
যদিও অভিযুক্তদের বক্তব্য, চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এব্যাপারে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লক্ষ্মীপুজোর দিন গরুপাচার করা হচ্ছিল, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁর অভিযোগ, এক শ্রেনীর পুলিশের সঙ্গে যোগসাজস করে বিজেপির লোকজন এই কাজ করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন