সৌদীপ ভট্টাচার্য : মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ করার পরেও চাকরি পাচ্ছেন না প্রায় ২০০ জন চাকরি প্রার্থী। আর তাই নিয়োগের দাবিতে প্রার্থীরা সল্টলেকের সিটি সেন্টারের অদুরে ধর্ণায় বসেছেন। আজ তাদের ধর্নার দশম দিন। রাস্তার ফুটপাতে বসে থালা বাজিয়ে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
রবিবার তাঁদের ধর্ণা মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চাকরি প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে দেখা করাবেন বলেও জানান। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন খাতে অনুদানের টাকায় রাজ্যে লক্ষী ভান্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্প চলছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দেন তাঁরা। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশিত হয়। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বাকি প্রায় ২০০ জনকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি।
কেন তাঁদেরকে নিয়োগ করা হয়নি, তা জানতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার তাঁরা দেখা করার চেষ্টা করলেও চেয়ারম্যান দেখা করেননি। তাই তাঁরা দফায় দফায় রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনো রকম সদুত্তর মেলেনি।
তাই বাধ্য হয়ে আবারও হাইকোর্টের নির্দেশে সল্টলেক সিটি সেন্টারের অদূরে রাস্তার ফুটপাতে ধর্নায় বসেছেন মাদ্রাসা কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করা বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগ সহ ১২ দফা দাবি নিয়ে তাঁদের এই আন্দোলন চলছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, 'রাজ্য তো কোনও কথা শুনছে না। আমার মনে হচ্ছে, দিদির সরকার এটার সমাধান করবে না। ওরা তো দুর্নীতির মধ্যে ফেঁসে আছে। কেন বারবার ইডি লাগছে, সিবিআই লাগছে। এরা তো চাকরিপ্রার্থী, তাহলে কেন পাবে না। এই বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলবো।'
তিনি দাবি করেন, 'সাড়া ভারতে সব থেকে বেশি অনুদান পায় এই রাজ্য। আমার তো মনে হয় কেন্দ্রের অনুদানের টাকায় লক্ষী ভান্ডার চালাচ্ছে। সিবিআই, ইডি কেন লাগছে। দুর্নীতি করেছো তাই লাগছে।' সংখ্যালঘু উন্নয়নের টাকা লক্ষী ভাণ্ডারে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন