সমকালীন প্রতিবেদন : কখনও একটানা খরা, আবার কখনও একনাগাড়ে বৃষ্টি। আর তারই প্রভাব পরলো এবারের পদ্মচাষে। এবছর পদ্মফুল তুলনায় কম ফোটায় দুর্গাপুজোয় পদ্মফুলে টান পরার সম্বাবনা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছেন পদ্মচাষীরা।
কথিত আছে, রাবণকে বধ করার জন্য রামচন্দ্র অকালবোধন করেছিলেন। সেই অকালবোধনে মায়ের পায়ে ১০৮ টি পদ্মফুল অর্পণ করেছিলেন রামচন্দ্র। সেই থেকেই দুর্গাপুজোতে ১০৮ টি পদ্মফুল প্রয়োজন হয়। দুর্গাপুজোর সময় এই পদ্মফুল সরবরাহ করে কিছু পয়সার মুখ দেখেন পদ্মচাষীরা।
এই রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় পদ্মফুলের চাষ করে জীবনধারণ করছেন কয়েকশ পদ্মচাষী। এবছর আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনার কারণে পদ্মফুল চাষে বেশ ক্ষতি হয়েছে। সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমানে ফুটছে না পদ্মফুল। ফলে মাথায় হাত পদ্মচাষীদের।
এই অবস্থায় দুর্গাপুজোর অপরিহার্য অঙ্গ এই পদ্মফুল কিভাবে সমস্ত পুজোয় জোগান দেওয়া সম্ভব হবে, তা ভেবে পাচ্ছেন না পদ্মচাষীরা। পাশাপাশি, অগ্রিম টাকা দিয়ে পুকুর লিজে নিয়ে পদ্ম চাষ করতে গিয়ে পদ্ম না ফোটায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন চাষীরা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম এবং বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় পদ্ম চাষ করে থাকেন কয়েকশো চাষী। তাঁদের বেশিরভাগেরই নিজেদের কোনও পুকুর না থাকায় তাঁরা মোটা টাকা ঋণ করে এনে সেই টাকার বিনিময়ে পুকুর লিজ নিয়ে পদ্ম চাষ করেন। কিন্তু এবারে ফুল সেভাবে না ফোটায় ঋণের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন