সমকালীন প্রতিবেদন : কাঁটাতারের ওপারে কৃষিকাজ সেরে সোনার বিস্কুট পাচার করার সময় বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পরে গেল এক পাচারকারী। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তের ঘটনা। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন প্রায় ১০ কেজি। বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, কাঁটাতারের ওপারে কৃষিকাজ করতে গিয়েছিল বাগদার কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনসার মন্ডল। কাজ সেরে এপারে ফিরে আসার সময় তাকে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফের রনঘাট সীমান্ত চৌকির ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের।
আনসারকে এরপর দাঁড় করিয়ে তার শরীরে তল্লাশী চালানোর পর তার কোমড়ে একটি কাপড়ে বাধা অবস্থায় ভারি কিছু রয়েছে বলে দেখতে পান জওয়ানেরা। এরপর সেটি খুলতেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে মোট ৮১ টি সোনার বিস্কুট।
বিস্কুট সহ আটক আনসারকে এরপর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরায় সে বিএসএফ কর্তাদের জানায়, কাঁটাতারের ওপারে কাজ করতে যাওয়ার পর বাংলাদেশের এক ব্যক্তি তাকে এই সোনার বিস্কুটগুলি দিয়ে সেগুলি এপারে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে।
অর্থের লোভে সে এই বিস্কুটগুলি কোমড়ে বেঁধে নিয়ে আসছিল। সে বাংলাদেশের কার কাছ থেকে এই বিস্কুটগুলি সংগ্রহ করে এপারের কার কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিস্কুটগুলি নিয়ে আসছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
এব্যাপারে বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার যোগেন্দ্র আগরওয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ৭ এবং ৯ সেপ্টেম্বর দুটি আলাদা অভিযানে সীমান্ত থেকে মোট ৪০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে জওয়ানেরা। যার মূল্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ফের আটক হয় ৮১ টি সোনার বিস্কুট। পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কায়দায় সোনা পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর বিএসএফ জওয়ানেরা তাদের সতর্ক দৃষ্টি রেখে এভাবেই পাচারকারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তে কর্তব্যরত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ২ জওয়ান অসামাজিক কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সাড়া পরে যায়। ফলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মনে করা হচ্ছে, সেই বদনাম ঘোঁচাতে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে পরে এই বাহিনী। আর তারই জেরে ৫ দিনের ব্যবধানে তিনবারের অভিযানে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন