সমকালীন প্রতিবেদন : তপ্তকাঞ্চন বর্ণের দুর্গামায়ের ভোগে ৫ রকমের মাছ ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় এই পুজোয়। এখানে পুজোর চারদিন মায়ের উদ্দেশ্যে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। নরবলির প্রথা বন্ধ হয়ে গেলেও তার বদলে চালের মন্ড বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। পুজোর প্রতিদিন পাঠাবলির প্রথাও প্রচলিত আছে।
পুজোর এমন বর্ণনা শুনে অবাক লাগলেও ৫১৩ বছরের পুরনো এমন পুজো এখনও হয়ে আসছে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গামন্দিরে। আর সেই পুজো দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। এই মুহূর্তে মাকে সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে জোরকদমে।
রাজপরিবারের সদস্য প্রণত বসু জানালেন, কালিকাপুরাণ মতে এখানে পুজো হয়। এই পুজো দেখতে যুবক যুবতীদের ভিড় হয় বেশি। তাছাড়া, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে হাজির হন। এই দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে বাঘ, সিংহ যেমন থাকে, তেমনি জয়া–বিজয়াও থাকে।
মহালয়ার দিন কালিপুজো দিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়। এরপর ষষ্ঠীর দিন থেকে পুজোদমে শুরু হয়ে যায় পুজোর নানা আচার। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির এই ঐতিহ্যপূর্ণ পুজো নিয়ে আজও সমান আগ্রহ রয়েছে জেলার মানুষের মধ্যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন