সমকালীন প্রতিবেদন : দিনের পর দিন মিলছে না সঠিক পরিষেবা। তারসঙ্গে দুর্ব্যবহার। আর তারই জেরে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কের গেটে তালা লাগিয়ে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার বকচরা বাজারে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের সামনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে এসে অধিকাংশ সময়েই বলা হয় লিঙ্ক নেই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে এলে তাঁদেরকে বলা হয়, সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যাবে না, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে হবে।
গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, এই ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। টাকা তুলতে এসে দিনের পর দিন খালি হাতে ফিরে যেতে হওয়ায় গোষ্ঠীর মহিলারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ব্যাঙ্কের এক পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই মূলত তাঁদের অভিযোগ।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা এদিন সকালে ব্যাঙ্কের মূল গেট বন্ধ করে তাতে তালা লাগিয়ে দেন। ফলে ব্যাঙ্কের কর্মীরা এদিন ব্যাঙ্কের ভেতরে আটকে পরেন। তালা লাগানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রাহকেরা।
প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে এই বিক্ষোভ চলে। পরে খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ অভিযোগকারীদের সমস্ত কথা শুনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিলে তালা খুলে দেওয়া হয়।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার কিশোর সেনের পাল্টা বক্তব্য, গ্রাহকদের অভিযোগ সঠিক নয়। নিয়ম মেনে ব্যাঙ্কে কাজ করা হয়। অনেক সময় পদ্ধতিগত কারণে সব কাজ সময়মতো করা যায় না।
এদিন শুধু সাধারণ গ্রাহক বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকেরাই নন, ব্যাঙ্কের কাজকর্মে ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরাও। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক ব্যাঙ্কটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও প্রকাশ্যে বলেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন