সমকালীন প্রতিবেদন : পুজোয় ইভটিজিং রুখতে এবারে বনগাঁর পুজোতে কাজে লাগানো হবে পুলিশের উইনার্স বাহিনীকে। মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তৈরি এই বিশেষ বাহিনীর কর্মীরা বিভিন্ন পুজোমন্ডপ এবং রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন। কোথাও কোনও মহিলা আক্রান্ত হলে বা ইভটিজিং এর শিকার হলে, তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে এই বাহিনী।
কলকাতার পর মফ:স্বল শহর হিসেবে বনগাঁর পুজোয় প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। এই ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। গত দুবছর করোনার কারণে মানুষ সেইভাবে পুজোয় বের হতে পারেন নি। আর তাই এবছর আবহাওয়া ভালো থাকলে পুজোর কটা দিন বনগাঁ শহরের পুজো দেখতে মানুষের প্রচুর ভিড় হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
আর সেই ভিড় সামলাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচলের উপর বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। আর তা আগামীকাল অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন থেকে লাগু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বনগাঁর কোথায়, কোন ক্লাবের পুজো হচ্ছে, আপৎকালীন পরিষেবার জন্য ফোন নম্বর এবং দর্শনার্থী ও সংগঠকদের উদ্দেশ্যে পালনীয় কিছু নিয়মাবলীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চমীর দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩ টে থেকে পরদিন রাত ২ টো পর্যন্ত এবং ষষ্ঠী অর্থাৎ ১ অক্টোবর দুপুর ৩ টে থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন ভোর ৪ টে পর্যন্ত বনগাঁ শহরের ভেতরে ছোট, বড় সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক, মোটর সাইকেল, অটো রিক্সা, ই রিক্সা চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি থাকবে।
প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেও ৫ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ৩ টে থেকে পরদিন ভোর ৪ টে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর রোড, চাকদা রোড, বাগদা রোড এবং রামনগর রোডে ড্রপ গেট করা হচ্ছে। পুজোর কটা দিন যাত্রীবাহী বাসগুলি নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডের বদলে শহরের বাইরে থেকে ছাড়বে। উল্লেখ্য, বনগাঁ শহরে এবারে মোট ৩২ টি বড় ও মাঝারি মাপের বারোয়ারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন বনগাঁ নীলদর্পণ হলে পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জয়িতা বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল বিশ্বাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম আলি মুফতি, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন