Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ বনগাঁয়‌

 

Allegation-of-taking-extra-money

সমকালীন প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীর পরিজনকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এমনই অভিযোগ পেয়ে পুরসভা এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিরা আচমকাই বেসরকারি নার্সিং হোম এবং সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন। মঙ্গলবার বনগাঁয় এই পরিদর্শনে ধরা পরল আরও অনেক অনিয়ম।

এদিন পুরসভার একাধিক দপ্তরের প্রতিনিধি, কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে বনগাঁ শহরের একাধিক নার্সিং হোম পরিদর্শনে যান বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা:‌ সুব্রত রুইদাস।

এদিন বনগাঁর ড্রিমল্যান্ড নার্সিং হোমে পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিনিধিদের কাছে রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ করেন যে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। নার্সিং হোমের সিঁড়ির নিচে জল জমে থাকতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পুরপ্রধান। অভিযোগ, এই নার্সিং হোমে ৩০ বেডের অনুমতি থাকলেও সেখানে ৫৬ টি বেড চালানো হচ্ছে।


অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নার্সিং হোমের প্রতিনিধি অভিজিৎ রাহা জানান, চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীপিছু তারা খুব কম টাকা পান। ফলে নার্সিং হোম চালাতে গেলে এটুকু অনিয়ম তাদের করতেই হয়। তবে রোগীদের কাছ থেকে যে চিকিৎসকেরা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন, তা তাদের জানা ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।


এদিন আরও কয়েকটি নার্সিং হোম পরিদর্শন করে সেখান থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি নার্সিং হোমের ফ্রিজ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্তের প্যাকেট পাওয়া যায় বলে দাবি পরিদর্শক দলের। আর তা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।  

এব্যাপারে তিনি জানান, বনগাঁর বেশকিছু নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও  একাধিক অনিয়ম ধরা পরেছে। এব্যাপারে আমরা জেলাশাসক, রাজ্য ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে বনগাঁর আপনজন নার্সিং হোমের মালিক তথা শল্য চিকিৎসক ডা:‌ আশীষকান্তি হীরা জানান, নার্সিং হোমের পক্ষ থেকে কোনও রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না। তবে কিছু সার্জারির ক্ষেত্রে যন্ত্র ভাড়া বাবদ একজন শল্য চিকিৎসক অতিরিক্ত টাকা নিতে বাধ্য হন। 

পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এদিন আরও জানান, ঠিকাদার সংস্থার ঢিলেমিতে বনগাঁ হাসপাতালের বেশ কিছু এইচডিইউ বেড কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সেগুলি যাতে দ্রুত কাজে লাগানো সম্ভব হয়, তারজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন