দেবাশীষ গোস্বামী : শিক্ষাক্ষেত্রে অসাধ্য সাধন করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। ২০১৩ সালে প্রথমবার আম আদমি পার্টি দিল্লিতে ক্ষমতায় এসে শিক্ষাক্ষেত্রকে আমূল সংস্কারের চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় আম আদমি পরিচালিত সরকার পদত্যাগ করে।
এরপর ২০১৫ সালে নির্বাচনে আম আদমি পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লিতে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করার পরেই স্কুল শিক্ষাকে আমূল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। আগে দিল্লিতে স্কুল শিক্ষা মানেই বেসরকারি পরিচালিত স্কুলগুলিকেই বলা হতো।
এই বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি হতে গেলে সাধারন মানুষের অনেক টাকা ডোনেশন হিসেবে দিতে হতো। তাছাড়া, সরকারি বিদ্যালয়ের ভবনগুলির হাল ছিল খুবই খারাপ। আম আদমি সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি করে।
প্রথমেই এই স্কুল ভবনগুলির সংস্কার করা হয়। কিছু পুরানো স্কুল ভবনকে নতুন রূপে তৈরি করা হয়। বেশ কিছু নতুন শিক্ষক নিয়োগও করা হয়। শুধু তাই নয়, যারা পুরনো শিক্ষক ছিলেন, তাদেরও আবার নতুন করে ট্রেনিং দেওয়া হয়।
এরপর থেকে দিল্লিতে সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার হার ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। ২–৩ বছর পর থেকেই দেখা যায়, বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির হার কমতে থাকে এবং সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
দিল্লি সরকারের নেওয়া এইসব পদক্ষেপের ফল এখন ফলতে শুরু করেছে। এবছর দ্বাদশ শ্রেণীতে পাশের হার ৯৯.৭ শতাংশ। এবছর সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১১০৩ জন সফল হয়েছে।
দিল্লিতে সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আলাদাভাবে কোনও টিউশন পড়তে হয় না। শিক্ষায় দিল্লি সরকারের এই প্রয়াস এখন ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যকেও দিশা দেখাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন