সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশে পাচারের আগেই উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে চোরাই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ হাজার বাংলাদেশী টাকা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই দুষ্কৃতিকে।
বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার জয়িতা বসু শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম আনোয়ার মণ্ডল এবং ইমরান হোসেন। আনোয়ার মন্ডলের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলায়। অন্যদিকে, ইমরান হোসেনের বাড়ি গোপালনগর থানার মেহেরপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজনেস ভিসা নিয়ে কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিল আনোয়ার। সে কাপড়ের ব্যবসা করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। আদপে, কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরাই মোবাইল পাচারই তার অন্যতম প্রধান কাজ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ইমরান একজন মোবাইল মেকানিক। মোবাইল সারাইয়ের আড়ালে সে বিভিন্ন জায়গার চোরাই মোবাইল কিনে তা সংগ্রহ করে রাখত। আর তারপর তা বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্যে আনোয়ারের হাতে তুলে দিত। বেশ কয়েক মাস ধরেই তারা এই অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল।
শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ গোপালনগর থানার ১৬ নম্বর রেলগেটের কাছে হানা দেয়। আর সেখানেই আনোয়ার এবং ইমরানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭২ টি চোরাই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন।
পুলিশ জানিয়েছে এই ফোনগুলি আনোয়ারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ইমরান সেখানে এসেছিল। সেগুলি বাংলাদেশে পাচারের আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় চোরাই মোবাইলের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলি পুলিশ এবারে তার আইএমইআই নম্বর দেখে মোবাইলের আসল মালিকদের খোঁজ চালাবে। সঠিক প্রমাণ দিতে পারলে আসল গ্রাহকদের হাতে এই মোবাইল তুলে দেওয়া হবে। এই পাচার চক্রের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে ধৃত দুষ্কৃতিদের শনিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন