সমকালীন প্রতিবেদন : ১১ বছরের ছবিতে বদল, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আর পার্থ নন, এবার হয়তো বসবেন ফিরহাদ হাকিম। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তখন থেকেই, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য।
টানা ১১ বছর সেখানেই বসেছেন বর্তমানে অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ করেই সুর কাটলো! এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলে স্থান হয়েছে পার্থবাবুর। ইতিমধ্যেই তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দপ্তর সামলানোর পাশাপাশি পরিষদীয় দপ্তরের দায়িত্ব ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। আর তাই কাজের সুবিধার্থে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি বরাদ্দ ছিল। পরিস্থিতির কারণে এবারে বিধানসভার ১১ বছরের সেই 'পাকা' আসন থেকেও সরানো হতে পারে পার্থবাবুকে।
পার্থ চট্রোপাধ্যায় যেহেতু বর্তমানে মন্ত্রিসভাতেই নেই, তাই তাঁর আর এখন মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনে বসার প্রয়োজনীয়তাও নেই। আর সেক্ষেত্রে সেখানে দ্বিতীয় কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে হয়তো সেই আসনটি পেতে পারেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আদালতের নির্দেশে শুক্রবার থেকে জেলে জায়গা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আগামী ১৪ দিন তাকে প্রেসিডেন্সি জেলের বিশেষ সেলেই থাকতে হবে। সেই ঘরে একটি মাত্র সিলিং ফ্যান রয়েছে। সেখানে অন্যান্য সাধারণ বন্দির মতোই রাখা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। মেঝেতে কম্বল পেতে, মাথায় কম্বল দিয়ে শুতে হয়েছে তাকে।
এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শমতো ইডির পক্ষ থেকে জেলে পার্থবাবুর কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলের সাধারণ খাবার দেওয়া হচ্ছে। জেল সূত্রে জানা গেছে, তিনি যদি আলাদা কোনও খাবার খেতে চান, তাহলে তা তাকে কিনে খেতে হবে। পরিজনদের দেওয়া খাবারও তাকে দেওয়া যেতে পারে।
আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার জেলে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে যেতে পারেন ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। আগামী ১৮ আগস্ট ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। তাকেও আগামী ১৪ দিন সেখানেই কাটাতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন