শম্পা গুপ্ত : স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস কর্মকারের বাড়িতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়ি অবশেষে উদ্ধার হল। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে যেস্থলে তারা ওই হাতুড়ি ছুঁড়ে ফেলেছিল, সেখান থেকে তারা নিজেরাই খুঁজে বের করল ওই হাতুড়ি। উদ্ধার হওয়া ওই হাতুড়ি এই খুনের ঘটনার বড় প্রমান হিসেবে আদালতে পেশ কার হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার পুরুলিয়া শহরের দর্জিপাড়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে ওই বাড়ির এক পরিচারিকা পার্বতী বাদ্যকারকে খুন করার পাশাপাশি বাড়ির কর্ত্রী নন্দিতা দাস কর্মকারকে মারাত্মকভাবে জখম করে ওই বাড়ি থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চিকিৎসা চলাকালীন নন্দিতাদেবীরও মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ভিকি শর্মা এবং রাকেশ কুমার রজক নামে দুই কাঠমিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতে তোলার পর বিচারকের নির্দেশে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, এই হামলার ঘটনায় তারা একটি হাতুড়ি ব্যবহার করেছিল।
খুনের এবং হামলার ঘটনার পর তারা প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সেই হাতুড়িটিকে সাধুডাঙ্গা এলাকার একটি জঙ্গলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এদিন পুলিশ ধৃতদেরকে নিয়ে সেই জঙ্গল থেকে খুনের কাজে ব্যবহৃত হাতুড়িটিকে উদ্ধার করে। পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় জঙ্গলের মধ্যে পরে থাকা সেই হাতুড়িটি নিজেই খুঁজে বের করে ভিকি।
পুলিশি জেরা সে জানিয়েছে, এই হাতুড়ি দিয়েই আঘাত করে সে হত্যা করেছিল পার্বতীকে। সেদিন তাদের সঙ্গে থাকা অন্য একটি হাতুড়িও ওই জঙ্গল থেকে এদিন উদ্ধার হয়। পুলিশকে ধৃতরা জানিয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা মতো কাজের নাম করে ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ঢুকে বাড়ির একটি আলমারী থেকে টাকা সরানোর কাজ চালাচ্ছিল তারা।
এই সময় তাদেরকে দেখে ফেলেন ওই বাড়ির পরিচারিকা পার্বতী বাদ্যকার। আর তখনই তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে ভিকি। তাদের আক্রমণে গুরুতর আহত হন ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রীও। চিকিৎসা চলাকালীন আজ তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন