সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তে বিএসএফের অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা'কে বাগদায় এসে এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললো তৃণমূল। দুই বিএসএফ জওয়ানের দ্বারা এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বাগদার কাশিপুর হাইস্কুলের মাঠে সভা করল তৃণমূল নেতৃত্ব।
২৫ আগস্ট রাতে বাগদার জিতপুর গ্রামের যেস্থলে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, এদিন সেই স্থল পরিদর্শন করেন কুণাল ঘোষ এবং শশী পাঁজা। গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বিএসএফের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ উগড়ে দেন।
উল্লেখ্য, চোরাপথে ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রবেশের পথে ২৫ আগস্ট রাতে বাগদার জিতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পরেন বসিরহাটের এক গৃহবধূ। অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে তাঁর ৫ বছরের শিশুকন্যার সামনে গণধর্ষণ করে দুই বিএসএফ জওয়ান। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত দুই জওয়ানকে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার এলাকায় সভা করে তৃণমূল। সেখানে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার এলাকা থেকে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার যে প্রস্তার কেন্দ্র সরকার এনেছে, তা বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বিজেপি নেতৃত্ব পরোক্ষে বিএসএফকে কাজে লাগাচ্ছে।
মন্ত্রী শশী পাঁজা অভিযোগ করেন, বেঁচে থাকার তাগিদে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের ভয়ে মানুষ তাদের কাছে অনেক সময় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আপোষ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিএসএফের একাংশের বিরুদ্ধে অনেক অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ আসছে। সীমান্ত এলাকায় যারা দলের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা বলার জন্য আবেদন জানান তিনি।
এদিন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল নেতৃত্বের যে উপলব্ধি হয়েছে, তা তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন। এরপর এব্যাপারে উচু মহলে কথা হবে। সোমবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে যে সমাবেশ হবে, সেই সমাবেশ থেকে বাগদার ঘটনা সম্পর্কে দলনেত্রী আওয়াজ তুলতে পারেন বলে এদিন ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিনের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক, সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, নারায়ণ গোস্বামী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন