সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চরম গোপনীয়তা বজায় রাখলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আগে থেকে নাম প্রকাশ করলে দলের অভ্যন্তরে কলহ বাধতে পারে, এই আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করা হয় নি বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
এই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হবার পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শুরু হবার আগে থেকেই সিপিএম এবং বিজেপি নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। আজ বুধবার, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ শাসক দল তৃণমূল মঙ্গলবার বেশি রাত পর্যন্তও নিজেদের দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে নি।
যদিও শেষ পর্যন্ত পাপাই রাহা নামে এক যুবককে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বুধবার সকাল থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁকে দলীয় কর্মীরা অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। আজ সকাল ১১টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসবেন প্রার্থী পাপাই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ পাপাই পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে পরিচিত পাপাই এই প্রথম কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাপাই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত সুভাষনগর এলাকারই বাসিন্দা। এলাকায় পরিচিত মুখ।
এব্যাপারে বুধবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য দাবি করেন, তিনি দলের প্রার্থী হচ্ছেন, সেই বিষয়টি আজ সকালেই তিনি জানতে পেরেছেন। আর তারপর থেকেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এদিন সকাল থেকেই তাঁর বাড়ি এবং দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন দলীয় কর্মীরা।
উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ দাস প্রয়াত হওয়ার পর থেকেই এই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কে দলের প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দলের বিশেষ দুএকজনের নাম উঠে আসে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা একজনের নাম প্রস্তাব করে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন।
এই পরিস্থিতিতে দল শেষ পর্যন্ত কাকে প্রার্থী করছে, তা নিয়ে চরম গোপনীয়তা বজায় রাখে দলীয় নেতৃত্ব। কারণ হিসেবে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয় যে, আগে থেকে নাম প্রকাশ্যে চলে এলে দলের ভেতরেই কলহ তৈরি হতে পারে। আর সেই আশঙ্কায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এব্যাপারে দল গোপনীয়তা বজায় রাখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন