Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

বাগদায় গণধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় গেলেন বিধায়ক

 

MLA-went-to-the-area-in-the-case-of-gang-rape

সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দুই জওয়ানের হাতে এক মহিলা গণধর্ষিতা হওয়ার ঘটনার জেরে শনিবার ঘটনাস্থলে গেলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিএসএফের দুই কর্মীর এহেন আচরনে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন বিধায়ক। পাশাপাশি, গোটা বিষয়টি তিনি রাজ্যের মখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিজের ২ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন এক মহিলা। বসিরহাট এলাকার বাসিন্দা বছর ২৩ বয়সের ওই মহিলা এইসময় সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জ ওয়ানদের নজরে পরে যান। 


অভিযোগ, বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের এসআই এস পি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাফ হোসেন এরপর ওই মহিলাকে পাশের একটি পটলখেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর নির্যাতিতা ওই মহিলা কোনওরকমে লোকালয়ে এসে আশ্রয় নেন এবং গ্রামবাসীদের গোটা ঘটনা জানান। এই ঘটনায় ওই এলাকায় বিএস এফের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।


এরপর অত্যাচারিতা এই মহিলা শুক্রবার বাগদা থানায় দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাগদা থানার পুলিশ অভিযুক্ত ওই দুই বিএসএফ জওয়ানকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতদেরকে বনগাঁ আদালতে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিন বাগদায় যান পুলিশ সুপার তরুন হালদার।


এদিকে, বিএসএফের এই অমানবিক আচরণের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যান বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এলাকা ঘুড়ে পরে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। 


তিনি জানান, সীমান্তের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যেই বিএসএফ এমন ধরনের অত্যাচার করছে। তাই তাদের এলাকা বাড়িয়ে ৫০ কিলেমাটার করা হলে বিএস এফের অত্যাচারের শিকার হবেন আরও বেশি সাধারণ মানু্ষ। দলের নির্দেশমতো প্রয়োজনে বিএসএফের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে এদিন বিধায়ক জানান। 










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন