সমকালীন প্রতিবেদন : লোকাল ট্রেনের টিকিট কেটে না বুঝে মেল ট্রেনে উঠে পরেছিলেন গ্রামের এক অসুস্থ মহিলা যাত্রী। আর সেই 'অপরাধে' চরম হেনস্থার শিকার হতে হল ওই মহিলাকে। অভিযোগ, ওই মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানা নেওয়ার পরেও তাঁকে মাঝপথে ট্রেন থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। সোস্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হল।
তন্ময় আচার্য নামে এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোষ্ট করে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। সেই পোষ্ট অনুযায়ী জানা গেছে, এদিন কৃষ্ণনগর থেকে কল্যানীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য ট্রেনে ওঠেন মধ্য বয়সী এক অসুস্থ মহিলা যাত্রী।
কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে কল্যানী স্টেশন পর্যন্ত যাওযার জন্য তিনি একটি টিকিটও কাটেন। কিন্তু তিনি লোকাল ট্রেনের বদলে নিজের অজান্তে একটি মেল ট্রেনে উঠে পরেন। ট্রেন রানাঘাট স্টেশনে ঢোকার আগেই এক মহিলা টিকিট পরীক্ষক ট্রেনে ওঠেন।
টিকিট পরীক্ষা করার সময় টিকিট পরীক্ষক ওই মহিলা যাত্রীর কাছে লোকাল টিকিট দেখে ২৭০ টাকা জরিমানা করেন। রসিদে কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাট স্টেশন পর্যন্ত জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়। এব্যাপারে অসহায় ওই মহিলা যাত্রী টিকিট পরীক্ষককে বলেন যে, তিনি কল্যানীতে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। তাঁকে কল্যানী পর্যন্ত যেতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা টিকিট পরীক্ষক জানান, কল্যানী পর্যন্ত যেতে গেলে আরও ২৭০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু ওই মহিলা যাত্রীর কাছে আর টাকা না থাকায় মহিলা টিকিট পরীক্ষক তাঁকে জোর করে ট্রেন থেকে রানাঘাট স্টেশনে নামিয়ে আনেন।
এমন অবস্থায় অসুস্থ ওই যাত্রী কান্নাকাটি শুরু করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পরেন ট্রেনের যাত্রী এবং প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অন্যান্যরা। তাঁরা ওই মহিলা টিকিট পরীক্ষককে ঘেরাও করে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন। যাত্রীদের সমবেত প্রতিবাদে কোনও সদুত্তর দিতে পারেন নি ওই টিকিট পরীক্ষক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন রানাঘাট জিআরপির প্রতিনিধিরা। তারা আসতেই মনে জোর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একপ্রকার পালিয়ে যান ওই মহিলা টিকিট পরীক্ষক। এই ঘটনায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁরা দাবি করেন, টিকিট পরীক্ষককে যাত্রীর টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন