সমকালীন প্রতিবেদন : ডেঙ্গু মোকাবিলায় বনগাঁ পুর এলাকার বিভিন্ন পুকুরে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কাজ শুরু করল বনগাঁ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় এই কাজ করছে পুরসভা। সোমবার পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে এই কাজ শুরু করলেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।
প্রতি বছর বর্ষার সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে এই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা গত কয়েক বছর ধরেই শীর্ষে রয়েছে। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের হাতে গাপ্পি মাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, যেসব জলাশয়ে মশার লার্ভা জন্মায়, এই গাপ্পি মাছ সেইসব মশার লার্ভা খেয়ে নষ্ট করে দেয়।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বনগাঁ পুরসভা কর্তৃপক্ষকে এমন ২০ হাজার গাপ্পি মাছ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা এলাকায় প্রায় ৪৫ টি পুকুর রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পাওয়া গাপ্পি মাছগুলি পুরসভার এই পুকুরগুলিতে ছাড়া হবে বলে জানালেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। সোমবার তারই সূচনা হল।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন। পুর নাগরিকদের বার বার সচেতন করা হচ্ছে, যাতে বাড়ি বা আশপাশের কোনও এলাকায় জল জমে না থাকে। কারণ, জমা জলেই ডেঙ্গুর মশা ডিম পাড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন