সমকালীন প্রতিবেদন : অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন। হামলা, মারধোর, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি এই ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ফের ভোট করানোর দাবি জানালো বিরোধীরা। আর তারই মধ্যে দিয়ে এদিন শেষপর্যন্ত প্রায় ৮৩ শতাংশ ভোট পরল।
রবিবার সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহন শুরু হয়। আর তার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় গোলমাল। মূলত দুটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে গান্ধীপল্লী এলাকার বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের দুটি বুথে এই গোলমাল হয়। যদিও সবটাই বুথের বাইরে হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, বুথের ভেতরে বহিরাগত মহিলারা ঢুকে দেদার ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। এব্যাপারে প্রতিবাদ করলে ওই মহিলারা একপ্রকার পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর ওই এলাকায় হাজির হন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিন কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, বহিরাগত হিসেবে স্বপন মজুমদার তাঁর কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেহরক্ষীদের নিয়ে বুথের সামনে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হতে থাকে। এরপর আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নারায়ন ঘোষ ওই এলাকায় পৌঁছাতেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এমনকি মহিলা কর্মীদের মধ্যেও মারামারি শুরু হয়। স্বপন মজুমদারের অভিযোগ, তাঁকে এবং তার দেহরক্ষীদেরকে মারধোর করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে যশোর রোড অবরোধ করা হয়। বিধায়ক এবং দলের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে বনগাঁর বাটা মোড়ে রাস্তার উপর বসে পরে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। তাঁরা এদিনের নির্বাচন বাতিল করে নতুনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানান।
একই অভিযোগ তুলে এবং একই দাবিতে প্রতিবাদে সরব হয় সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম প্রার্থী ধৃতিমান পাল এবং কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের অভিযোগ, তৃণমূল এদিন সকাল থেকে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। ফলে এই ভোট বাতিল করতে হবে। এই দাবিতে সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বাটা মোড়ে অবরোধ করা হয়। নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়।
যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুএকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন