শম্পা গুপ্ত : স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনের ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হলো ২ জনকে। ধৃতদের নাম ভিকি শর্মা এবং রাকেশ কুমার রজক। তাদের একজনের বাড়ি বিহারে, অন্যজনের বাড়ি পুরুলিয়া জেলায়।
রবিবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের দর্জিপাড়ায় প্রদীপ দাসকর্মকার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে পার্বতী বাদ্যকার নামে ওই বাড়ির এক পরিচারিকা খুন হন। হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন ব্যবসায়ীর স্ত্রী নন্দিতা দাসকর্মকার।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই পরিবারের পরিচিত ভিকি শর্মা এবং রাকেশকুমার রজক নামে দুই কাঠ মিস্ত্রী প্রায়ই কাজের জন্য ওই বাড়িতে যেত। তারাই এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
এরপরই পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার রাতেই ভিকি এবং রাকেশকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ভিকির বাড়ি বিহারে। তবে কাজের সূত্রে সে পুরুলিয়া শহরের সাধুডাঙা এলাকায় থাকে। আর রাকেশের বাড়ি পুরুলিয়ার মফঃস্বল থানার দুব চড়কা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজের সূত্রে এরা দুজন ওই ব্যবসায়ীর মাঝেমধ্যেই যেত। আর সেই কারণে বাড়ির কোথায় কি আছে, তা তারা জানতো। সম্প্রতি ভিকির খুব টাকার প্রয়োজন হয়ে পরে। আর তখনই সে এই বাড়িতে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, বাড়ির ভেতরে টাকা হাতাবার সময় ভিকি এবং রাকেশকে দেখে ফেলেন ওই বাড়ির পরিচারিকা। আর তখনই হাতুড়ি ধরনের ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলা হয়। আর তারপর দেহ একটি ঘরে ঢুকিয়ে চাদর চাপা দিয়ে দেওয়া হয়।
পরিচারিকাকে খুন করার পর গৃহকর্ত্রী নন্দিতা দাসের উপর হামলা চালায় তারা। তাঁকে কিভাবে আঘাত করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। নন্দিতা দেবী বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগণ জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত দুই কাঠমিস্ত্রী খুনের কথা স্বীকার করেছে। দুজনকেই সোমবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের আরও জেরা করে এব্যাপারে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন