সমকালীন প্রতিবেদন : ৪ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে পাটক্ষেতের ভেতর থেকে মধ্যবয়সী এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হল। ইতিমধ্যেই অবশ্য দেহে পচন ধরেছে। বুধবার সকালে কৃষকেরা জমিতে চাষের কাজ করতে গিয়ে সেখানে ওই দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
বনগাঁ থানার নতুনগ্রাম মাঝেরপাড়া এলাকায় এদিন সকালে পাটক্ষেতে চাষ করতে গিয়ে কৃষকদের নজরে আসে যে, পাটগাছের কিছু অংশ ভেঙে পরে রয়েছে। আর তার মধ্যে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে তাঁরা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।
বনগাঁ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ওই এলাকার মানুষ এরপর এলাকার কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান। তিনিই বনগাঁ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ঘটনা জানাজানি হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে শরীরের পোষাক দেখে মৃতদেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়। জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম সীমা দে। তাঁর বড় মেয়ে মিঠু শীল জানান, শনিবার সন্ধেয় বাজারে যাবে বলে গায়ে জ্বর অবস্থায় তাঁর মা বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেন নি।
রবিবার গোটা দিন নানা জায়গায় খোঁজ করেও না পেয়ে সন্ধেয় বনগাঁ থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। পুলিশও তাঁর মায়ের খোঁজ চালাচ্ছিল। এরপর এদিন সকালে নতুনগ্রাম এলাকায় জমিতে চাষ করতে গিয়ে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার কৃষকেরা ওই এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে নিখোঁজ মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান।
কি কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তার আসল কারণ জানতে পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, নতুন গ্রাম এলাকায় সন্ধের পর বহিরাগতদের কারণে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যেই অনৈতিক কাজ চলে। এব্যাপারে পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকার মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন