সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ থানার দেবগড় এলাকায় বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বছর ১৯ বয়সের মৃত বধূর নাম রিম্পা হালদার। বধূর স্বামীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাড়ির লোকেরা।
জানা গেছে, মাস কয়েক আগে নিজে পছন্দ করে বনগাঁর কলেজপাড়ার এক যুবককে বিয়ে করেছিলেন রিম্পা। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই এরপর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন রিম্পা।
রিম্পার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আর মা মাঠে দিনমজুরির কাজ করেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ মেয়ের সঙ্গে কথা বলেই বাবা–মা দুজনেই কাজে চলে যান। রিম্পা ফের শুয়ে পরেন। প্রতিদিনই একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠেন রিম্পা।
এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে ঘন ঘন মোবাইল ফোন বেজে ওঠার শব্দ শোনেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু ফোন না তোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপর ঘরের ভেতরে উঁকি দিতেই তাঁরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে উপুড় হয়ে পরে রয়েছেন রিম্পা। গোটা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
বাসনা বিশ্বাস নামে এক প্রতিবেশী জানান, 'আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম, হয়তো অসুস্থতার কারণে খাট থেকে পরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে রিম্পার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, অন্য কিছু। আইনী সমস্যার কারণে আমরা কেউ মৃতদেহে হাত দিই নি। রিম্পার বাবা–মা কে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে মৃতদেহে হাত দেন।'
ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী মানস মোহন্ত। তিনি এব্যাপারে জানান, ঘরের এবং বিছানার পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বেশ ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে। বিছানা সহ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। এটি খুনের ঘটনা হতে পারে।
ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। এব্যাপারে রিম্পা হালদারের স্বামীর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রিম্পার পরিবার। রিম্পার মৃত্যুর আসল কারণ জানতে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন