প্রকৃত গণকন্ঠ হয়ে উঠতে পারে নিউজ পোর্টালগুলিই
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
বর্তমান দুনিয়ায় এই মুহূর্তে সবচাইতে বড় গণ-শক্তি হল ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল। এইগুলোকে আমি গণ-শক্তি বলছি এই কারণে যে, যেকোনও মানুষ বাড়িতে বসে সামান্য নেট খরচ আর একটি মোবাইল নিয়ে মানুষের কথা পৌঁছে দিতে পারেন লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। অর্থাৎ পুঁজি বা ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করে প্রকৃত গণমাধ্যম হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে ডিজিটাল নিউজ পোর্টালগুলি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নিউজ পোর্টাল কি মানুষের হাতিয়ার হয়ে উঠছে? নাকি কেবলই আরেকটা মাধ্যম হয়ে উঠছে সংবাদ পরিবেশনের! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আধুনিক প্রজন্মের সাংবাদিকদের। কারণ সাংবাদিকতা কেবলই রোজগারের পেশা নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের হয়ে যে পেশায় সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে পারে সেটাই সাংবাদিকতা।
নিউজ পোর্টাল সরাসরি সাংবাদিকতায় নতুন সুযোগ এবং দিগন্ত খুলে দিয়েছে। মিডিয়া যত বড় হয়, ততই তার কাজের পরিধি বাড়তে থাকে। সংবাদের গভীরতা, মান আরও বাড়াতে গিয়ে ক্রমশ পুঁজি নির্ভর হয়ে উঠতে হয়। পুঁজির মালিকের কাছে অজান্তেই ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের কর্মীদের দাসত্ব তৈরি হয়ে যায়। ধীরে ধীরে নির্মাণ হয়ে যায় পুঁজিনির্ভর সত্তা। যে গণমাধ্যমের জন্ম সমস্তরকম দাসত্বের বিরোধিতা করার জন্য, সেই গণমাধ্যমকেই বিজ্ঞাপন পেতে গিয়ে ক্ষমতার বৃত্তে আটকে যেতে হয়। মানুষের কথা বলতে গিয়ে খরচটুকু তোলার জন্য পুঁজির কাছে হাত পাততে হয়। রাষ্ট্র এবং বড় বড় পুঁজিপতি মানুষের কাছে ক্ষমতার বৃত্তে আটকে যেতে হয় মিডিয়াকে। স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে নিজেরাই পরাধীন হয়ে ওঠার অবস্থা তৈরি হতে থাকে। বড় বড় মিডিয়ার কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যেই লুকিয়ে এর বীজ। এই রাহুর গ্রাস থেকে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলার জন্য নিউজ পোর্টাল।
প্রগতিশীল আধুনিক মনন তৈরি করেছিল লিটিল ম্যাগাজিন। কিন্তু তার টাকা নেই লাখ লাখ কপি ছাপানোর, লাখ লাখ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার। প্রযুক্তির বিপ্লব এই অবস্থা থেকে প্রগতিশীল মনন ও চেতনার মানুষদের শক্তি জুগিয়েছে। গণমাধ্যমকে মুক্ত করেছে নতুন আঙ্গিকে এনে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যখন মানুষের কাছে এসে পৌঁছালো, তখন মানুষ কোনও বাধা ছাড়াই নিজের কথাগুলি প্রকাশের জায়গা পেল। ছবি সহ খবর ইত্যাদি লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানোর শক্তির পেল। নেট, বিদ্যুতের মতো সামান্য কিছু আনুষঙ্গিক খরচের বিনিময়ে সেটা হলো। মাত্র কয়েক হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে একটা পোর্টাল তৈরি সম্ভব। লিটিল ম্যাগাজিন করার মতো করেই প্রকৃতঅর্থে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেল মানুষ।অন্য কোনও সাংবাদিক না রেখেও নিজে একাই সীমিতভাবে একটি পোর্টাল চালানো যায়। সাধারণ মানুষের আর্থিক পারকতাতেই সেটা সম্ভব।
নতুন প্রযুক্তিতে এটা বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়া প্রকৃতই গণমুখী হওয়ার সুযোগ পেল। পুঁজির কাছে নতজানু না হয়ে, একজন সাংবাদিক মানুষের কথা লিখতে চাইলে, নিউজ পোর্টাল তৈরি করে সেখানেই লিখে ফেলতে পারেন। এটা বাস্তব যে, নিউজ পোর্টাল যেকোনও সংগ্রামী চেতনার মানুষের কাছে আত্মপ্রকাশের সেরা আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে। স্বভাবতই মিডিয়ার অনেক স্বাধীন চেতনার সাংবাদিক একটি ওয়েবসাইট কিনে নির্দিষ্ট ফরম্যাট কাজে লাগিয়ে নিউজ পোর্টাল তৈরি করেছেন। গত তিন চার বছরে বিকশিত হয়েছে দিকে দিকে বহু ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল। মানুষ এক নতুন ধরনের সাংবাদিকতার স্বাদ পাচ্ছে। এর মধ্যে সংবাদ ও রঙিন ছবি পরিবেশনে যেমন স্বাধীনতা, তেমনি মৌলিক ভাবনা প্রকাশের স্পেস এবং অনন্য সাধারণ স্পিড। এক কথায় মানুষের প্রথম পছন্দ হয়ে ওঠার সব রসদ মজুত।
নিউজ পোর্টাল আর মুদ্রিত কাগজের মধ্যে মূলগত লক্ষ্য একই। দুটিই সংবাদ পরিবেশন করে। বরং বলা যেতে পারে, নিউজ পোর্টাল অনেক ভালো। মুদ্রিত কাগজটিকে পাঠকের কাছে পৌঁছতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ২৪ ঘণ্টার নিউজ চ্যানেলগুলির চাইতে অনেক আগে নিউজ পোর্টালগুলি খবর পরিবেশন করতে পারে, নিতান্তই সামান্য খরচে লাখো পাঠকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়ায় মুদ্রণ প্রযুক্তির জন্য অনেকটা সময় ও বহু অর্থ খরচ হয়। প্রিন্ট মিডিয়ার সর্ব বৃহৎ সমস্যা তার বিপণন। বিতরণ ও বণ্টনে প্রয়োজন হয় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বহু মানুষকে নিয়ে ছড়িয়ে থাকা এক বড় পরিকাঠামো তৈরি করা এবং ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক ঠিক রাখা। সেখানে দাঁড়িয়ে সবচাইতে বেশি অ্যাডভান্টেজ এখন ডিজিটাল মিডিয়া। কারণ ডিজিটাল মিডিয়া মুহূর্তে পৌঁছে যায় গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এর মধ্যে দিয়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে।
যেকোনও খবর নিউজ পোর্টাল মারফৎ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত সহজ। বলা যেতে পারে, প্রযুক্তির এই অভাবনীয় সুবিধা নিয়ে ছোট ছোট নিউজ পোর্টাল গ্রামেগঞ্জে কাজ করে পাঠকের সমীহ আদায় করে নিয়েছে। মহানগরীর মহাবৃহদ গণমাধ্যমের বিগ হাউসের চাইতেও বহু আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এখন চাপের মুখে প্রিন্ট মিডিয়া। বড় বড় হাউস এখন নিজেদের পোর্টাল তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত বড় বড় কাগজের বার্তা সম্পাদক ও চিফ রিপোর্টারদের সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রামের জেলাওয়ারী ছোট ছোট পোর্টালগুলির দিকে। নিউজ পোর্টাল খবর দিচ্ছে বলে প্রতিমুহূর্তে মহানগরে বসে তাঁরা জানতে পারছেন। প্রয়োজনমতো সেইসব খবর থেকে নিজেরাও খবর তৈরি করে নিচ্ছেন। গণমাধ্যমের দুনিয়ায় নিউজ পোর্টালগুলি এই কারণে অবিশ্বাস্যরকম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
একটার পর একটা নিউজ পোর্টাল জন্ম নেওয়ার পর বাংলার মিডিয়া নতুন রূপ নিয়েছে। খবরের মাধ্যমগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা তো দূরের কথা, সহযোগিতার নতুন আবহ তৈরি হয়ে গেছে। নিউজ মিডিয়াগুলির পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়ানোর তাগিদ তৈরি হয়েছে। একটা যেন সামগ্রিক মিডিয়া মঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে। প্রযুক্তির চাপে এই মঞ্চটা তৈরি হচ্ছে অলক্ষ্যে। সেটা কেউ চাইলেও হবে, না চাইলেও হবে। তার কারণ, কেউ যদি মনে করেন তাঁর মিডিয়ায় কী প্রকাশ হচ্ছে সেটা চেপে রাখবেন, সেটা আর সম্ভব নয়। বরং কত আগে সেটা প্রকাশ করা যায়, সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় লাভ পাচ্ছে পাঠক। সম্পূর্ন বিনামূল্যে বিভিন্ন মিডিয়া, নিউজ চ্যানেল, পোর্টালের খবর তাঁর হাতের মুঠোয়। নিয়মিত নোটিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে অনেক খবর জেনে নেওয়া যাচ্ছে।
নোটিফিকেশন যুদ্ধে একইসঙ্গে এসে পৌঁছাচ্ছে আনন্দবাজার, বর্তমান, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি ই–সমকালীন, সার্বভৌম সমাচার, দেশের সময় বা বার্তা সাম্প্রতিক এর মতো অতি ছোট নিউজ পোর্টাল। তবে এই যুদ্ধে কাউকে ছোট ভাববার কোনও কারণ নেই। আজকের দিনে কেউ আর ছোট নেই। শতকোটি টাকার মিডিয়া হাউজ যেখানে পৌঁছাতে পারছে না ই–সমকালীন বা তার মতো ছোট নিউজ পোর্টালগুলি পৌঁছে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়, তার নিজের ডিজিটাল অ্যাক্সেস এর মধ্যে দিয়ে।
পোর্টালগুলির জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, সেটা সাংঘাতিক। চ্যালেঞ্জটা হলো, কী এমন খবর যা পড়বার জন্য লোক কালকে পর্যন্ত বসে থাকবে? এই ক্ষেত্রে পোর্টালগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে, সাংবাদিকতা কতখানি গভীর, কতটা পরিব্যপ্ত হতে পারে। বরং বলা যেতে পারে, করোনার পর্বে বাংলা ডিজিটাল মিডিয়া এতটা উন্নতি করেছে যে পরের দিন সকালবেলায় আনন্দবাজার, বর্তমান খুলে কী পড়বে আর না পড়বে তার জন্য অপেক্ষা করে না। গতকাল সকালে ই–সমকালীন এমন একটি খবর করেছে যা ভাববার। অসহায় বৃদ্ধা মাকে বনগাঁ স্টেশনে ফেলে পালিয়ে গেছে ছেলে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন। পুরসভার নেতৃত্বে পরে ওই বৃদ্ধাকে স্থান দেওয়া হলো পুরসভার বৃদ্ধাশ্রমে। মর্মান্তিক এবং সমাজকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেওয়া এই খবরটি ই–সমকালীন করল।
পরদিন রাজ্যের নামী সমস্ত দৈনিক পত্রিকায় সেই খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাহলে কে এগিয়ে? সবটাই নির্ভর করে খবর করার মুন্সিয়ানার উপর। সেটা যদি জানা থাকে, তাহলে যে কোনও নিউজ পোর্টাল এইরকম কিছু না কিছু খবর করে নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলে। বড় বড় মিডিয়া হাউসকে টক্কর দেওয়ার প্রশ্ন এখানে নেই। বরং পাঠকের কাছে বড় মিডিয়ার অপূর্ণতা পূরণ করে দিয়ে যায় নিউজ পোর্টাল। খবরের দুনিয়ায় এই অমিত সম্ভাবনা যেমন সমাজকে এগিয়ে দিচ্ছে, তেমনি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে। কোটি কোটি টাকার নিউজ মিডিয়া হাউস যেখানে পৌঁছতে পারবে না, নিউজ পোর্টাল যেন সেইসব খবর সবার আগে দিতে পারে। খবর করার ক্ষেত্রে মৌলিক ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি এইক্ষেত্রে খুব জরুরী। নিউজ পোর্টালগুলির ক্ষমতা আছে। তারা অসাধারণ নিউজ করে দেখিয়ে দিতে পারে। wire, wall এর মতো বহু পোর্টাল মানুষের কথা ছড়িয়ে দিতে এবং রাষ্ট্রশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দুর্দান্ত হাতিয়ার হয়েছিল করোনা পর্বে।
তাই পোর্টালগুলি পারে পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে, যা অন্য অনেক বড় প্রিন্ট বা টিভি মিডিয়া পারে না, কিন্তু সেটার জন্য যোগ্য লোকের দ্বারা পরিচালিত হওয়া দরকার। তবে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেটা হল, কন্টেন্টের গুণমান নিয়ে। বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। নতুন যাঁরা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে সকলেই যে গণস্বার্থে খবর করেন, সেটা নয়। নতুন নতুন খবর বানানোর নাম করে অনেক পোর্টাল ভৌতিক, কৃত্রিম, মিথ্যে গল্পের রটনার জন্ম দেয়। সংবাদনিষ্ঠ খবরের বদলে কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির পক্ষে প্রচারের খবরে ভরে যাচ্ছে নিউজ পোর্টালগুলি।
এই সমস্যা শুধু নিউজ পোর্টালের নয়, বিশ্বায়ন পরবর্তী যুগে গোটা মিডিয়া জগৎ এই রোগে আক্রান্ত। প্রিন্ট বা টিভি মিডিয়ার চাইতে ডিজিটাল মিডিয়ার খবরের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন প্রচুর। লেখার ভাষা, খবর নির্মাণ করবার পদ্ধতিগত ত্রুটি, সংবাদের কাঠামোগত মান বজায় রাখাটা জরুরি। যা খুশি করে ভিউ বাড়াতে না পারলে বিজ্ঞাপন পাবে না ভেবে অনেকে খবরকে রং মাখিয়ে উত্তেজক করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে শিরোনামে এই ধরনের প্রবণতা নিউজ পোর্টালগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিচ্ছে। লাইক পেলেই তো খবর হয় না। খবর করতে যে নূন্যতম পড়াশুনো, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সরকার পরিচালনা নিয়ে জ্ঞান থাকা দরকার, সেই সব না নিয়ে যা খুশি জনমনরঞ্জনকর লেখা লিখে পোর্টালগুলি মানুষকে অনেকক্ষত্রে বিভ্রান্ত করে। ফলে প্রযুক্তি যে অ্যাডভান্টেজ দিয়েছিল কম খরচ আর কম সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর, সেটার আর গ্রহণযোগ্যতা রাখতে পারছে না নতুন অনেক পোর্টাল। বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে নিজের জায়গাটা নষ্ট করে ফেলছে তারা। ফলে সাধারণভাবে অনেক পোর্টাল নিজেদের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলছে।
তবে পাঠক বুঝে নিতে পারে, কে নির্ভরযোগ্য। সেটাই আশার আলো দেখায়। পোর্টাল যাঁরা করছেন তাঁদের বোঝা দরকার, পোর্টাল দাঁড় করাতে হলে সহজে যা পেলাম, সেটাই টুকে দিলে খবর হয় না। শিরোনামে চমক দিলাম ভাবলেও হবে না। পাঠক সব জানে। সব বোঝে। নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তির দুনিয়াতে প্রতিমুহূর্তে পাঠকের কাছে নানা সূত্র ধরে খবর আসে। তাই যাঁরা ভাবছে তাঁরা যা লিখবেন, সব মানুষ পড়বে, সেটা ভুল। বরং পোর্টাল চালানো অনেক চ্যালেঞ্জিং। পোর্টাল চালাতে গেলে গভীরভাবে নিউজ নিয়ে ভাবতে হবে।
অনেক বিরুদ্ধশক্তিও কাজ করছে পোর্টালের মুখোশ পরে। দেশ এবং সমাজ বিরোধী শক্তিগুলি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং সম্প্রীতি নষ্ট করতে সক্রিয় রয়েছে। তারাও নিউজ পোর্টাল তৈরি করে নিয়মিত ফেক নিউজ ছড়ায়। মিথ্যের বেসাতিরা চিরকালই সংবাদ জগতে ছিল, নিউজ পোর্টালের নতুন জগতে তাঁরা এসে দল পাকাচ্ছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে জনবিরোধী রাজনীতি টিকিয়ে রেখে ক্ষমতার ব্যবসার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এরা। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। সাধারণ মানুষ সব বোঝে। তাই কোনটা সত্যিই নিউজ পোর্টাল, আর কোনটা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে নিউজ করবে বলে কোনও অদৃশ্য পক্ষ পোর্টাল বানিয়েছে, সেটা বুঝে নেয় জনগণ। পোর্টালগুলি যদি সঠিকভাবে কাজ করে যায়, তাহলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তার জন্য। মানুষের হয়ে কথা বলবার জন্য প্রকৃত গণকন্ঠ হয়ে উঠতে পারে নিউজ পোর্টালগুলিই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন