সমকালীন প্রতিবেদন : ইন্টারনেটে সার্চ করলে দেখাচ্ছে 'আনসাকসেসফুল'। অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মার্কশিট দেখাচ্ছে, তার প্রিন্টও নেওয়া যাচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে মার্কশিট দেখাচ্ছে না। ফলে এই পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারছেন না, তাঁরা আদৌ পাশ করেছেন কি না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে এমনই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। অন্যান্য স্কুলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই ধরনের ফলাফল দেখানো এমন ১৬ জন পরীক্ষার্থী শনিবার স্কুলের সামনে এসে হাজির হন। তাঁরা জানান, 'আনসাকসেসফুল' দেখানোয় তাঁরা বুঝতে পারছেন না, তাঁদের রেজাল্টের অবস্থান কী। ফলে তাঁরা কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনও করতে পারছেন না। এমনই জানালেন হিমিকা দাস, কৃতিকা দে এর মতো পরীক্ষার্থীরা।
যদিও বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'আনসাকসেসফুল' দেখানো মানে এই পরীক্ষার্থীরা পাশ করে নি। এবছর এই স্কুল থেকে কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে ২৮২ জন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৮ জন 'আনসাকসেসফুল' অর্থাৎ তারা অকৃতকার্য হয়েছে। শনিবার বিকেলেই এই সংক্রান্ত নথি স্কুলের হাতে এসে পৌঁছেছে। সোমবার স্কুলে এই সংক্রান্ত তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, প্রোজেক্টের নম্বর ছাড়াও লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ নম্বর পেতে হবে। এই নম্বর একাধিক বিষয়ে না পেলে সেই পরীক্ষার্থীকে সফল হিসেবে ধরা হবে না। স্কুলের ধারণা, সম্ভবত কিছু ছাত্রী সেই নম্বর না পাওয়ায় তাদের রেজাল্টে 'আনসাকসেসফুল' দেখাচ্ছে।
এব্যাপারে কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী উকিল জানান, হোম সেন্টার হওয়া সত্ত্বেও স্কুল যে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ফাঁক রাখে নি, এই ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা তার প্রমান। ফলাফল মন:পুত না হলে তারা রিভিউ করার সুযোগ পাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন