সৌদীপ ভট্টাচার্য : দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে স্কুলের সহশিক্ষিকা এবং অন্যান্য কর্মীরা ঘেরাও করে রাখলেন প্রধান শিক্ষিকাকে। প্রায় ৭ ঘন্টা ঘেরাও থাকার পর অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাওমুক্ত হলেন প্রধান শিক্ষিকা। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্কুলের শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা অন্যান্য সহ শিক্ষিকাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতির সঙ্গেও একই আচরণ করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই প্রধান শিক্ষিকার আমলে স্কুল তার পূরনো গরিমা অনেকটাই হারিয়েছে। স্কুলে অনেক পরিকাঠামোর অভাব থাকলেও তার ব্যবস্থা করার দিকে নজর নেই প্রধান শিক্ষিকার।
জানা গেছে, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্কুলে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়। ভর্তির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজন ছাত্রী ভর্তি না হতে পারায় বৃহস্পতিবার সে ভর্তি হতে আসে। অভিযোগ, ওই ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার রোষের মুখে পরে। এই বিষয়ে স্কুলের সভাপতি মধ্যস্থতা করতে এলে তাঁকেও অসম্মান করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্কুলের বেশ কয়েকজন সহ শিক্ষিকা। ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ এরপর প্রধান শিক্ষিকাকে ঘরের মধ্যে ঘেরাও করে রেখে তাঁরা ঘরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এব্যাপারে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা নিজের ইচ্ছেমতো স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। অনৈতিকভাবে এক ছাত্রীকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে তিনি বঞ্চিত করছেন।
এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ক্লিক করুন
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। কয়েকজন নতুন সহ শিক্ষিকা অন্যের প্ররোচনায় তাঁর উপর মানসিক চাপ তৈরি করছেন। তাঁর কাছে সমস্ত প্রমান আছে বলে তিনি দাবি করেন। সন্ধের পর পুলিশি হস্তক্ষেপে ঘেরাওমুক্ত করা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন