সমকালীন প্রতিবেদন : বাবার অকাল প্রয়াণের মানসিক ধাক্কা সামলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙা গ্রামের দিয়া মন্ডল। এবছর ঝাউডাঙা সম্মিলনী হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল দিয়া। সেখান থেকে ৬৫১ নম্বর পেয়ে স্কুলের সেরা হয়েছে সে। শতাংশের হিসেবে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৩।
তিন বোনের মধ্যে দিয়া মেজো। দিদি কলেজ ছাত্রী। আর বোন অষ্টম শ্রেণীর। দিয়ার বাবা মহানন্দ মন্ডল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৫ সালে হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের এমন অকাল মৃত্যুতে দিশাহারা হয়ে পরেন দিয়ার মা বীথিকা মন্ডল।
আত্মীয়–পরিজনদের সহযোগিতায় কোনওরকমে দিনযাপন হলেও মেয়েদের পড়াশোনা যাতে কোনওরকমে বিঘ্নিত না হয়, তারজন্য পরিশ্রম শুরু করেন দিয়ার মা। অনেক চেষ্টার পর এলাকার একটি বিদ্যালয়ে বছর দুয়েক আগে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী হিসেবে কাজ পান দিয়ার মা।
বাবার এই অকালে চলে যাওয়ার ঘটনায় মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পরলেও দিদার স্বপ্নপূরণ করতে আরও বেশি করে পড়াশোনায় মন দেয় দিয়া। আর তাই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সফল হয়েছে সে। যে দিদা তাকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই দিদাও বর্তমানে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রয়াত হয়েছেন। দিদার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চায় দিয়া। কিন্তু আর্থিক সমস্যা তাকে এবং তার পরিবারকে ভাবিয়ে তুলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন