সমকালীন প্রতিবেদন : দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেই তৃণমূলের দুপক্ষ মারামারিতে জড়ালো। কার্য়ালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি দুপক্ষের মোট ৫ জন জখম হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বনগাঁ ব্লকের চৌবেড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আগামী নির্বেচনে কে প্রার্থী হবে, মূলত সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে এই গোলমাল। শুক্রবার সন্ধেয় স্থানীয় তৃণমূঈল নেতা গিয়াসউদ্দিন মন্ডল তাঁর অনুগামীদের নিয়ে চৌবেড়িয়া বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে যান। সেই সময় সাইফুল মন্ডল সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। আর তারপরই দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেই দুপক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় দুপক্ষের ৫ জন আহত হয়। পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সাইফারুদ্দিন মণ্ডল এবং অন্য গোষ্ঠীর সাইফুল মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় পুলিশ পকেট বসানো হয়। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
যদিও এই বিষয়ে চৌবেড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন হাজরা গোলমালের কথা স্বীকার করে নিলেও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ। ভোটে দাঁড়ানো নিয়েও কোনও গোলমাল নয় বলে তাঁর দাবি। তিনি জানান, পারিবারিক গোলমালের জেরে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
এই বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদারের অভিযোগ, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সারা বাংলা জুড়ে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গোলমালে জড়িয়ে পরছে। তার ব্যতিক্রম নয় চৌবেড়িয়াও। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে চৌবেড়িয়া এলাকায় দলের পক্ষ থেকে কে প্রার্থী হবে, তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন