সমকালীন প্রতিবেদন : কথায় বলে, প্রেম কোনও স্থান–কাল–পাত্র মানে না। একই পরিবারের দুই গৃহবধূ প্রেমের টানে নিজেদের সংসারের বাঁধন ছেড়ে দুই টোটো চালকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন। দুই পুত্রবধূকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার আবেদন নিয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ শ্বশুরমশাই। এমন কান্ডে চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে।
জানা গেছে, বাগদা থানার মালিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলপোতা গ্রামের বাসিন্দা শিবপদ পালের বড় ছেলে পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন। মেজো এবং ছোট ছেলে কর্মসূত্রে পুণেতে থাকেন। মেজো এবং ছোট বৌমা মিঠু পাল, পবিত্রা পাল এবং নাতিদের নিয়ে আন্দুলপোতা গ্রামে বসবাস করেন শিবপদবাবু। মেজো এবং ছোট ছেলে মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ২২ বছর আগে মেজো ছেলে এবং ১০ বছর আগে ছোট ছেলের বিয়ে হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই সন্তান রয়েছে।
এদিকে, এরইমধ্যে বাগদার সিন্দ্রানী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং হরিনগর গ্রামের শিবু মজুমদার নামে দুই টোটোচালকের সঙ্গে আলাপ হয় আন্দুলপোঁতা গ্রামের পালবাড়ির দুই জা মিঠু এবং পবিত্রার। একসময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়। আর সেই প্রেমের টানেই তারা গোপনে ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। গত শনিবার দুই জা ননদের বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। অন্যদিকে, দুই টোটো চালক নিমন্ত্রন বাড়িতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে। আর তারপর থেকেই এই চারজন বেপাত্তা।
ঘটনার একদিন পর বিষয়টি দুই পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা জানতে পারেন। নিজেদের সংসার, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে তাদের এমন কান্ডে হতবাক্ এলাকার মানুষ। এটা একপ্রকার সমাজিক অবক্ষয় বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া দুই বৌমা যাতে বাড়ি ফিরে আসে, তার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ শ্বশুর শিবপদ পাল। প্রধান তাঁকে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও তিনি এখনও পুলিশের কাছে কিছু জানান নি। নিজের সংসারের কথা ভেবে স্বামী যদি বাড়িতে ফিরে আসে, তাহলে সবকিছু ভুলে গিয়ে স্বামীকে মেনে নেবেন শিবু মজুমদারের স্ত্রী রীণা মজুমদার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন