সৌদীপ ভট্টাচার্য : নিজের বাড়ি বাদ দিয়ে অন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল চুটিয়ে গৃহশিক্ষকতার কাজ। গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির গোপন অভিযানে সেই দৃশ্য ধরা পরল। ফাঁস হল সরকার প্রোষিত একটি স্কুলের শিক্ষকের এই কীর্তি। ধরা পরে অবশেষে আর টিউশন করবেন না বলে ক্যামেরার সামনে কোনওরকমে প্রতিশ্রতি দিয়ে কাচুমাচু অবস্থায় দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।
সরকারি বা সরকার প্রোষিত স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন করার ব্যাপারে কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে তাঁদেরকে লিখিতভাবে শিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছে। তারপরেও রাজ্য জুড়ে একশ্রেণীর শিক্ষক–শিক্ষিকা গোপনে কিম্বা প্রকাশ্যেই এই প্রাইভেট টিউশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল শিক্ষকদের এই প্রাইভেট টিউশনের বিরুদ্ধে রাজ্যে জুড়ে অভিযান চালাবে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি।
এব্যাপারে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। তাঁদের অভিযোগ, এও একপ্রকারের চৌর্যবৃত্তি। সরকারের কাছে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েও নির্লজ্জভাবে একশ্রেণীর স্কুল শিক্ষক–শিক্ষিকা চুটিয়ে প্রাইভেট টিউশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা সমাজ গড়ার কারিগর, তারাই যদি এমন অনৈতিক কাজ করেন, তাহলে তা সমাজের কাছে লজ্জার। তারা এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে গেলে তাদের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসবেন গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রহ্লাদ আইচ নামে একজন স্কুল শিক্ষক। এই অভিযোগে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা রবিবার সেখানে গোপন অভিযান চালান। ঘরের দরজা খুলতেই দেখা যায়, দ্বাদশ শ্রেণীর একদল ছাত্রছাত্রীকে প্রাইভেট টিউশন দিচ্ছেন ওই শিক্ষক। গোটা অভিযানটি ক্যামেরাবন্দি করেন গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাসের দাবি, এটা একটা নমুনা মাত্র। এভাবেই সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে দেদার প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণীর অসাধু স্কুল শিক্ষক–শিক্ষিকা। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহন না করলে গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরাই ওইসব শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মুখোশ সমাজের কাছে খুলে দেবেন বলে জানালেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন