শম্পা গুপ্ত : পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু হওয়ায় জেলায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। ফলে খুশি জেলা প্রশাসন। এব্যাপারে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জেলার ৩ টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রকে পুরষ্কৃত করা হল। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে খুব ভালো কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বহু শিশু সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।
রাজ্যের প্রত্যন্ত এবং পিছিয়ে পরা জেলারগুলির মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া জেলা। একসময় এখানে অপুষ্টিতে ভুগতে হতো প্রত্যন্ত্য গ্রামাঞ্চলের শিশুদের। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে ইউনিসেফ ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম পুরুলিয়া জেলায় এই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র গঠিত হয়। এর ফলে জেলায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।
তারপর থেকে জেলায় পর পর এই ধরনের মোট ৯ টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হয়। নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারা বছর ধরে জেলার ২০ টি ব্লকে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রগুলি। গত এক বছরে কাজের নিরিখে পুরুলিয়া জেলার এই ৯ টি কেন্দ্র থেকে ৩ টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রকে তুলনায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ পুরষ্কৃত করা হল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিশুর সঠিক পুষ্টি, জন্মের পর থেকে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সুস্থভাবে শিশুর শারীরিক বিকাশ, মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং এবং যথাযথ পুষ্টি সংক্রান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা, মা ও শিশুর অপুষ্টির হার কমানো তথা বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলির ভূমিকা রয়েছে যথেষ্ট।
সম্প্রতি জেলার নটি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের গত এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে পুরুলিয়া জেলা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক রাহুল মজুমদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জি, পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া ও নিয়তি মাহাতো, অতিরিক্ত জেলা শাসক, মহকুমা শাসকেরা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন