সমকালীন প্রতিবেদন : প্রেমের সম্পর্কের জেরে ১৫ বছরের এক নাবালিকা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিল। আর এই ঘটনার জন্য তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌমেন পাড়ে নামে গোপালনগর থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ওই এলাকার এক নাবালিকার। সৌমেন নাগপুরে একটি হোটেলে কাজ করে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঘুড়তে যাওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে গোপালনগরের বৈরামপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ফাঁকা ঘরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
পরিবারের দাবি, লজ্জার খাতিরে এই ঘটনার কথা বাড়ির কাউকে জানায় নি ওই নাবালিকা। এই ঘটনার পর থেকে ওই যুবক একটু একটু করে সম্পর্ক ছেদ করতে থাকে নাবালিকার সঙ্গে। অন্যদিকে, সেদিনের ঘটনার পর অন্ত:সত্তা হয়ে পরে ওই নাবালিকা। তার পরিবারের দাবি, এব্যাপারে তাঁরা কিছুই টের পান নি।
৯ এপ্রিল পেটে যন্ত্রনার সমস্যা নিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই নাবালিকা। সেখানে চিকিৎসকেরা তার শারীরিক পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন যে, ওই নাবালিকা অন্ত:সত্তা। এরপর ওই দিনই ওই নাবালিকা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান সহ নাবালিকা বাড়ি ফিরে আসে।
এরপর তার প্রেমিক সৌমেন পাড়ের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে নাবালিক। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, নবজাতক সন্তান সহ ওই নাবালিকাকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন