সমকালীন প্রতিবেদন : ফের যশোর রোডের উপর গাছের বড় ডাল ভেঙে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন জাতীয় সড়কের উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে একের পর এক এভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।
জানা গেছে, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ চাঁদপাড়া বিডিও অফিসের পাশে যশোর রোডের ধারে একটি মুরগির মাংস বিক্রির দোকানে কেনাবেচা করছিলেন দোকানের মালিক রতন মন্ডল (৪৭) এবং তাঁর এক কর্মচারী। সেইসময় মাংস কিনতে আসেন স্নেহাংশু বিশ্বাস (৪২) নামে এক ক্রেতা। তাঁর ছেলে দোকানে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় আচমকাই রাস্তার ধারের একটি প্রাচীন গাছের বড় ডাল ভেঙে ওই দোকানের উপর পরে।
এই ঘটনায় দোকান ভেঙে তার নিচে চাপা পরে যান তিনজন ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ পর ক্রেন এনে গাছের ডাল সরিয়ে তাঁদেরকে উদ্ধার করা গেলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁদের মধ্যে দোকানদার রতন মন্ডল এবং ক্রেতা স্নেহাংশু বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ওই দোকানের কর্মচারীও। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষব্ধ বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ এই দুর্ঘটনার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে জানিয়েছেন, গাছের শুকনো ডাল কেটে ফেলার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বারে বারে চিঠি লেখার পরেও তাদের কোনও হুশ ফিরছে না। যার কারণে আরও দুজনের প্রাণ গেল। এরপরেও তারা কোনও ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ এব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করে গাছের গুঁড়ি ফেলে যশোর রোড অবরোধ করেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি বছর এইভাবে গাছের ডাল ভেঙে পরে মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে গাছের শুকনো ডাল কাটার ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে যশোর রোডের পুরনো গাছের ডাল ভেঙে পরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু এবং আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে গাছের পুরনো ডাল কাটার ব্যবস্থার কথা বলা হলেও তারা আদালতের দোহাই দিয়ে গাছের ডাল কাটার ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকছে। যার ফলে একের পর এক এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন