দেবাশীষ গোস্বামী : বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের সম্পর্ক প্রথম থেকেই একটু ভিন্নধর্মী। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যের, বিশেষ করে যেখানে কেন্দ্রবিরোধী সরকার আছে, সেখানেই এইরকম সম্পর্ক দেখা যায়। কারণ, রাজ্যপাল পদটিতে মনোনীত ব্যক্তি বসেন। কেন্দ্রীয় সরকারে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদেরই মনোনীত কাউকে এই পদে বসানো হয়।
এবার এই রাজ্যপাল এবং রাজ্যের সম্পর্কে আরও একটা অধ্যায় যোগ হলো। সাধারণত, এতদিন পর্যন্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য (Chancellor) হতেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হতেন পদাধিকারবলে রাজ্যপাল। এবার রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত বদলের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।
আজ, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আজ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিধানসভায় একটি বিল এনে আইন পাস করানো হবে। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হতে কোনও বাধা না থাকে। তামিলনাড়ু সরকার ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিভিন্ন নিয়ম-নীতির পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিশন গঠন করেছিল।
এই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদনমোহন পুঙ্চি। ২০১০ সালে এই কমিটি তাদের রিপোর্টে যে সুপারিশগুলি করেছিল, তারমধ্যে এই নিয়মটিও বদলানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন